পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । রহস্য-দুৰ্ভেদ্য এমন সময়ে হরিপ্রসন্ন বাবু তথায় উপস্থিত হইলেন। মজিদ খাঁকে বলিলেন, “তোমার সহিত কয়েকটা বিশেষ কথা আছে, মজিদ ।” মজিদ খাঁ বলিলেন, “বলুন।” হরিপ্রসন্ন বাবু বলিলেন, “বোধ হয়, তোমার স্মরণ আছে, একদিন তুমি বলিয়াছিলে যে, মনিরুদ্দীন। এখানে ফিরিয়া আসিলে, সেদিন খুনের রাত্ৰিতে মনিরুদীনের বাড়ীতে রাত্রি বারটার সময়ে যে স্ত্রীলোকের সহিত তোমার দেখা হুইয়াছিল, তাহার সম্বন্ধে সমুদয় বিষয় প্ৰকাশ করিতে আপত্তি করিবে না। এখন মনিরুদ্দীন ফিরিয়া আসিয়াছে, তুমি অনায়াসে সে কথা বলিন্তে পাের।” । ঃ মজিদ খাঁর মুখমণ্ডলে মলিনতার স্পষ্ট ছায়াপাত হইল। কম্পিতকণ্ঠে, বিবর্ণমুখে বলিলেন, “মনিরুদ্দীন ফিরিয়াছে ?” হরিপ্রসন্ন বাবু বলিলেন, “হঁ, মনিরুদ্দীন ফিরিয়াছে; যাহাকে লইয়া এত কাণ্ড, সেই দিলজানও ফিরিয়াছে।” চকিতে একটা সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস টানিয়া মজিদ বলিলেন, “দিলজান ?” হরিপ্রসন্ন বাবু বলিলেন, “স্থা, দিলজান, এখন আমরা সকলেই জানিতে পারিয়াছি, সেদিন খুনের রাত্রিতে বারটার সময়ে যে স্ত্রীলোকের সহিত তোমার দেখা হইয়াছিল-যাহার কথা তুমি প্রাণপণে গোপন করিতে চেষ্টা করিতেছ-সে মুলী সাহেবের স্ত্রী স্বজান।। আৱা