পাতা:নীলবসনা সুন্দরী - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোকে e পুষ্প, পুষ্পস্তবক ও পুষ্পমাল্যে আসর ভরিয়া গিয়াছে। আন্তর গোলাপজল ও ফুলের গন্ধে আসর ভরিয়া গিয়াছে। সুবাসিত অম্বুরী তামাকের ধূমে ও গন্ধে আসর ভরিয়া গিয়াছে। সুরলয়ে বাদ্যে আসর ভরিয়া গিয়াছে। আর নৰ্ত্তকীর সেই দীর্ঘায়ত কাজলরেখাঙ্কিত নেত্রের বিদ্যুচ্চকিত কটাক্ষে, রত্নাড়ারণোজ্জল লাবণ্যবিকশিত দেহেরু, ললিত কোমল ভঙ্গিতে প্রাঙ্গণবক্স শ্রোতৃমাত্রেরই হৃদয় ভরিয়া গিয়াছে। রাজাব-আলির সেই আলোকিত গীতবান্তবিক্ষুব্ধ প্রমোদমদিৱোচ্ছসিত জমাট আসর ত্যাগ করিয়া কেহ উঠিতেছে না, কেহ উঠিব উঠিব মনে করিয়াও উঠতে পারিতেছে না, কাহারও না-উঠিলে-নয়-তথাপি উঠিতে, পারিতেছে না । কেবল একজম যুবক বড় অন্যমনস্ক-কিছুতেই তাহার মন স্থির । হইতে চাহিতেছে না। যুবক, আসর ত্যাগ করিয়া উঠিল। তাঁহাকে উঠিতে দেখিয়া রাজাব-আলির জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ সুজাত-আলি গিয়া তাহার হাত ধরিল, “এখনই উঠিলে যে ?” ' . . . যুবকের নাম মোবারক-উদ্দীন । মোবারক-উদ্দীন কছিল, “রাপ্ত । দুইটা বাজিয়া গিয়াছে।” সুজাত-আলি হাসিয়া বলিল, “তাঙ্গ হইলেও আরও দুই-একটা গান শুনিবার সময় আছে। অমৃতে অরুচি কেন ? গান ভাল লাগিণী । তেছে না ?” মোরারক হাসিয়া বলিল, “না, বেশ গায়িতেছে। উঁয়ে বহিদ্বারোগিয়া দাড়াইল । ' মািত্ত্ব আলি বলিল, “বেশ গায়িলে আর উঠতে চাও? গুলজারঞ্জ মহল বাইজীর গান বুঝি তােমার ভাল লাগে না ?” মোবারক কহিল, “এমন লোক দেখি না, গুলজার মহল, রাষ্ট্ৰীঃ ཏཱ་2)