পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
নীলদর্পণ নাটক।

ত্রুটি নাই। মাঠাকুরুণ এব বউ ঠাকুরুণ আনেক রূপ নিষেধ করিয়াছিলেন, তাঁহারা বলিলেন “যে কএক দিন এখানে থাকা যায় আমরা কুয়ার জল তুলিয়া স্নান করিব, অথবা আদুরী পুষ্করিণী হইতে জল আনিয়া দিবে, আমাদিগের কোন ক্লেশ হইবে না।” বড় বাবু বলিলেন “আমি ৫০ টাকা নজর দিয়া সাহেবের পায় ধরিয়া পুষ্করিণীর পাড়ে নীল করা রহিত করিব, এ বিপদে বিবাদের কোন কথা কহির না।” এই স্থির করিয়া বড় বাবু আমাকে আর তোরাপ্কে সঙ্গে লইয়া নীলক্ষেত্রে গমন করিলেন এবং কাঁদিতে কাঁদিতে সাহেবেকে বলিলেন “হুজুর! আমি আপনাকে ৫০ টাকা সেলামি দিতেছি, এ বৎসর এ স্থানটায় নীল কর্‌বেন না, আর যদি এই ভিক্ষা না দেন তবে টাকা লইয়া গরিব পিতৃহীন প্রজার প্রতি অনুগ্রহ করিয়া শ্রাদ্ধের নিয়ম ভঙ্গের দিন পর্য্যন্তু বুনন রহিত করুন।” নরাধম যে উত্তর দিয়াছিল তাহা পুনরুক্তি করিলেও পাপ আছে; এখনও শরীর লোমাঞ্চিতি হইতেছে। বেটা বল্লে “যবনের জেলে চোর ডাকাইতের সঙ্গে তোর পিতার ফাঁসি হইয়াছে, তাঁর শ্রাদ্ধে অনেক ষাড় কাঁটিতে হইবে, সেই