পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩২
নীল দর্পণ নাটক।

না মার্তো তবে সোণার খোকা দেখে কত আহ্লাদ কত্তেন (হাত তালি)।

 সকলে। আহা! আহা! পাগল হয়েচেন।

 সাবি। (সৈরিন্ধ্রীর প্রতি) দাইবউ—ছেলে এক বার আমীর কোলে দাও, তাপিত অঙ্গ শীতল করি, কত্তার নাম করে খোকার মুখে একবার চুমো খাই (নবীনের মুখ চুম্বন)

 সৈরি। মা! আমি যে তোমার বড় বউ, মা দেখ্তে পাচ্চ না-—তৌমার প্রাণের রাম অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েচেন, কথা কহিতে পাচ্যেন না।

 সাবি। ভাতের সময় কথা ফুটবে। আহা, হা! কত্তা থাক্লে আজ কত আনন্দ, কত বাজ্না বাজ্তো (ক্রন্দন)

 সৈরি। সর্ব্বনাশরে উপর সর্ব্বনাশ! ঠাকুরণ পাগল হলেন?

 সর। দিদি! জননীকে বিছেনা ছাড়া করিয়া দাও, তাঁরে আমি শুশ্রূষা দ্বারা সুস্থ করি।

 সাবি। এমন চিটিও লিখেছিলে, এমন আহ্লাদের দিন বাজ্‌না হলো না (চারি দিকে অবলোকন করিয়া সবলে গাত্রোত্থান পূর্ব্বক সরলতার নিকটে গিয়া) তোমার পায়ে পড়ি বিবি ঠাক্‌রুণ!