মর্বো, আরে পোড়া কপাল, আরে পোড়াকপাল; গোড্ডার নীলি কল্লে কি? অ্যাঁ! অ্যাঁ।
সাধু। ঐ ক বিঘা জমির ভরসাতেই থাকা, তাই যদি গ্যালো তবে আর এখানে থেকে কর্বো কি। আর যে দুই এক বিঘা নােনা ফেলা আছে, তাতেতো ফলন নাই, আর নীলের জমিতে লাঙ্গল থাক্বে, তা কারকিৎই বা কখন কর্বো। তুই কাঁদিস্নে, কাল হাল্ গোরু বেচে গাঁর মুখে ঝাঁটা মেরে বসন্ত বাবুর জমিদারিতে পাল্য়ে যাব।
(ক্ষেত্রমণি ও রেবতীর জল লইয়া প্রবেশ)
জল খা, জল খা, ভয় কি, “জীব দিয়েচে যে, আহার দেবে সে!” তা তুই আমিনকে কি বলে এলি।
রাই। মুই বলবো কি, জমিতি দাগ মার্তি নাগ্লাে, মোর বুকি য্যান বিদে কাটি পুড়্য়ে দিতি নাগ্লো। মুই পায় ধল্লাম, ট্যাকা দিতে চালাম; তা কিছুই শােন্লে না। বলে, “যা তাের বড় বাবুর কাছে যা, তাের বাবার কাছে যা,” মুই ফোজদুরি কর্বো বলে সেঁস্য়ে এইচি। (আমিনকে দূরে দেখিয়া।) ঐ দ্যাখ্ শালা আস্চে,