একটু গঙ্গাজল মুখে দেওয়া গেল, তাহা দুই কস্ বহিয়া পড়িল। নবীনের কায়স্তিনী পতি শোকে ব্যাকুলা, কিন্তু পতির সদ্গতির উপায়ানুরক্তা।
সাধু। আহা! আহা! মা ঠাকুরুণ যদি ক্ষিপ্ত না হইতেন, তবে এ অবস্থা দর্শন করিয়া বুক ফেটে মরিতেন। ডাক্তার বাঁবুও মাথার ঘা সাংঘাতিক বলিয়াছেন।
কবি। ডাক্তার বাবুটি অতি দয়াশীল, বিন্দুবাবু টাকা দিতে উদ্যোগী হইলে, বলিলেন “বিন্দুবাবু তোমরা যে বিব্রত, তোমার পিতার শ্রাদ্ধ সমাধা হওয়ার সম্ভব নাই, এখন আমি তোমার কাছে কিছু লইতে পারি না, আমি যে বেহারায় আসিয়াছি সেই বেহারায় যাইব, তাহাদের আপনার কিছু দিতে হবে না” দুঃশাসন ডাক্তার হলে, কর্ত্তার শ্রাদ্ধের টাকা লইয়া ধাইত, বেটাকে আমি দুই বার দেখিছি, বেটা যেমন দুর্মুখো তেমনি অর্থপিশাচ।
সাধু। ছোট বাবু ডাক্তার বাবুকে সঙ্গে করে ক্ষেত্রমণিকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা করিলেন না। আমার নীলকর অত্যাচারে অন্নাভাব দেখে ক্ষেত্রমনির নাম করে ডাকার বাবু আমারে দুই টাকা দিয়া গিয়েছেন।