পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
নীল দর্পণ নাটক।

তেছি, হা পোড়া কপালি! (নবীনের মুখাবলোকন করে) দুঃখিনীর ধন আমার দয়ালা করিতেছে। (মুখ চুম্বন করিয়া) না বাবা তোমারে দেখে আমি সব দুঃখ ভুলে গিয়েছি, আমি কাঁদিতেছি না (মুখে স্তন দিয়া) মাই খাও গোপাল আমার, মাই খাও—গস্তানি বিটির পায় ধর্লাম তবু কত্তারে এক বার এনে দিলে না, গোপালের দুদ যোগান করে দিয়ে আবার যেতেন; বিটির সঙ্গে যে ভাব, চিটি লিখ্লিই যমরাজা ছেড়ে দিত। (আপনার হস্তে রজ্জু দেখিয়া) বিধবা হয়ে হাতে গহনা রাখিলে পতির গতি হয় না। চীৎকার করে কাঁদিতে লাগলাম, তবু আমারে শাঁকা পর্য়ে দিলে—প্রদীপে পুড়য়ে ফেলিচি তবু আছে (দন্ত দ্বারা হস্তের রজ্জু ছেদন) বিধবা হয়ে গহনা পরা সাজেও না, সয়ও না, হাতে ফোস্কা হয়েচে। (রোদন) আমার শাঁকা পরা যে ঘুচ্য়েচে, তার হাতের শাঁকা যেন তেরাত্রের মধ্যে নাবে (মাটিতে অঙ্গুলি মট্কায়ন) আপনিই বিছানা করি (মনে মনে শয্যাপাতন) মাজুরটো কাচা হয় নাই (হস্ত বাড়াইয়া) বালিস্টে নাগাল পাইনে—কাঁতা খানা ময়লা হয়েচে, (হস্ত দিয়া ঘরের মেজে