পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
প্রথম অঙ্ক।

(সিকাহস্তে সরলতার প্রবেশ)

 সর। দিদি, দ্যাখ দেখি, আমি সিকের তলাটি বুন্‌তে পেরেছি কি না?—হয় নি?

 সৈরিন্ধ্রী। (অবলোকন করিয়া) হ্যাঁ এই বার দিব্বি হয়েছে। ওবোন্, এই খান্‌টি যে ডুবিয়েছো, লালের পর জরদ্‌তে খোলেনা।

 সর। আমি তোমার দিকে দেখে বুন্‌ছিলাম—

 সৈরি। তাতে কি লালের পর জরদ আছে?

 সর। না তাতে লালের পর সবুজ আছে। কিন্তু আমর সবুজ সুতা ফুর্‌য়ে গেছে, তাই আমি ওখানে জরদ দিয়েছি।

 সৈরি। তোমার বুঝি আর হাটের দিন পর্য্যন্ত তর সইল না—তোমার বোন্ সকলি তাড়াতাড়ি বলে?

“বৃন্দাবনে অছেন হরি।
ইচ্ছা হলে রইতে নারি॥”

 সর। বাহবা— আমার কি দোষ, হাটে কি পাওয়া যায়? ঠাকুরুণ গেলহাটে মহাশয়কে আন্‌তে বলেছিলেন, তা তিনি পান্ নি।

 সৈরি। তবে ওঁরা যখন ঠাকুরপোকে চিটি লিখিবেন সেই সময় পাঁচ রঙ্গের সুতার কথা লিখে দিতে বল্‌বো।