পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
নীল দর্পণ নাটক।

 নবীন। প্রিয়সি, তুমি অনায়াসে দিতে পার কিন্তু আমি কোন্ মুখে লই। কামিনীকে অলঙ্কারে বিভূষিতা করিতে পতির কত কষ্ট, বেগবতী নদীতে সন্তরণ, ভীষণ সমুদ্রে নিমজ্জন, যুদ্ধে প্রবেশ, পর্ব্বতে আরােহণ, অরণ্যে বাস, ব্যাঘ্রের মুখে গমন,—পতি এত ক্লেশে পত্নীকে ভূষিত করে, আমি কি এমন মূঢ়, সেই পত্নীর ভূষণ হরণ করিব। পঙ্কজনয়নে, অপেক্ষা কর। আজ দেখি যদি নিতান্তই টাকার সুযােগ করিতে না পারি তবে কল্যতােমার অলঙ্কার গ্রহণ করিব।

 সৈরিন্ধ্রী। হৃদয়বল্লভ! আমাদের অতি দুঃসময়, এখন কে তােমাকে পাঁচ শত টাকা বিশ্বাস করে ধার দেবে? আমি পুনর্ব্বার মিনতি করিতেছি, আমার আর ছােট বয়ের গহনা পোদ্দারের বাড়ীতে রেখে টাকার যােগাড় কর, তােমার ক্লেশ দেখে সােণার কমল ছােট বউ আমার মলীন হয়েছে।

 নবীন। আহা! বিধুমুখি! কি নিদারুণ কথা বলিলে, আমার অন্তঃকরণে যেন অগ্নিবান প্রবেশ করিল—ছােট বধূমাতা আমার বালিকা, উত্তম বসন, উত্তম অলঙ্কারেই তাঁর অমেদ, তাঁর জ্ঞান