পাতা:নীল-দর্পণ নাটক - দীনবন্ধু মিত্র.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
নীলদর্পণ নাটক।

সুতরাং আসামির পক্ষের যে সকল সােয়াল, তাহা হুজুর হইতেই হইয়াছে, অতএব সাক্ষীগণকে পুনর্ব্বার আনয়ন করিলে আসামির কিছুমাত্র উপকার দর্শাইবার সম্ভাবনা নাই, কিন্তু সাক্ষীগণের সমূহ ক্লেশ হইতে পারে। ধর্ম্মাবতার! সাক্ষীগণ চাসউপজীবী দীন প্রজা, তাহারা স্বহস্তে লাঙ্গল ধরিয়া স্ত্রী পুত্রের প্রতিপালন করে, তাহারদিগের সমস্ত দিবস ক্ষেত্রে না থাকিলে তাহারদিগের আবাদ ধ্বংস হইয়া যায়, বাড়ীতে ভাত খাইতে আইলে চাসের হানি হয় বলিয়া তাহারদের মেয়েরা গামছা করিয়া অন্ন ব্যঞ্জন ক্ষেত্রে লইয়া গিয়া তাহারদের খাওয়াইয়া আইসে। চাসাদিগের এক দিন ক্ষেত্র ছাড়িয়া আইলে সর্ব্বনাশ উপস্থিত হয়, এ সময়ে এত দূরস্থ জেলায় রাইয়ত দিগের তলর দিয়া আনিলে তাহারদিগের বৎসরের পরিশ্রম বিফল হয়; ধর্ম্মাবতার! ধর্ম্মাবতার যেমত বিচার করেন।

 মাজি। কিছু হেতুবাদ দেখা যায় না। (উডের সহিত পরামর্শ) আবশ্যক হইতেছে না।

 প্র মােক্তার। হুজুর! নীলকরের দাদন কোন গ্রামের কোন রাইয়তে স্বেচ্ছাধীন গ্রহণ করে না, আমীন্