পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

 স্বাধীনতা লাভের জন্য আমরা যদি পাগল হইতে পারি তবেই আমাদের অন্তর্নিহিত অসীম শক্তির স্ফুরণ হইবে; আমরা নিজেরাই অবাক্ হইব এত শক্তি এত দিন কোথায় লুকাইয়া ছিল। এই নবজাগ্রত শক্তির বলে আমরা স্বাধীনতা অর্জ্জন করিতে পারি।

 জাতিকে যদি মুক্ত করিতে হয় তাহা হইলে সর্ব্বাগ্রে স্বাধীনতার আস্বাদ নিজের অন্তরে পাইতে হইবে। “আমি মুক্ত, স্বাধীন মানুষ”—এই কথা ধ্যান করিতে করিতে মানুষ সত্য সত্যই নির্ভীক হইয়া উঠে। নির্ভীক হইতে পারিলে মানুষ কোনও বন্ধনে আবদ্ধ হয় না; কোনও বাধাবিঘ্ন তাহার পথরোধ করিতে পারে না।

 ঘশোহর-খুলনার ভ্রাতৃবৃন্দ—এস আমরা একসঙ্গে বলি—“আমরা মানুষ হব; নির্ভীক, মুক্ত খাঁটি মানুষ হব। নূতন স্বাধীন ভারত আমরা ত্যাগ, সাধনা ও প্রচেষ্টার বলে গড়ে তুলব। আমাদের ভারতমাতা আবার রাজ-রাজেশ্বরী হবেন; তাঁর গৌরবে আমরা আবার গৌরবান্বিত হব। কোনও বাধা আমরা মানব না; কোনও ভয়ে আমরা ভীত হব না। আমরা নূতনের সন্ধানে, অজানার পশ্চাতে চল্‌ব। জাতির উদ্ধারের দায়িত্ব আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে, বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করব। ঐ ব্রত উদ্‌যাপন করে আমরা আমাদের জীবন ধন্য করব; ভারতবর্ষকে আবার বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে বসাব।” এসো ভাই!

৯৮