নূতনের সন্ধান
অন্তর্নিহিত সমস্ত শক্তির স্ফুরণ যদি ঘটাইতে হয়—তাহা হইলে একটা মহত্তর আদর্শের আস্বাদ তাহাকে দেওয়া চাই। খ্রীষ্টীয়দের “বাইবেলে”এ (Bible) একটা কথা আছে—men do not live by bread alone—শুধু উদর পূরণের দ্বারা মানুষ বাঁচিয়া থাকিতে পারে না। তার জীবন ধারণে জন্য অন্য রকম খোরাকেরও প্রয়োজন আছে। মানুষ জানিতে চায় তার জীবনের উদ্দেশ্য—সে কেন বাঁচিয়া আছে—তার জীবন ধারণের সার্থকতা কিসে। এ প্রশ্নের উত্তর সে যদি ঠিকমত না পায়—তাহা হইলে সে জীবনের শক্তি পায় না—নিজের জীবন ব্যর্থ বলিয়া মনে করে—এবং অন্তরের সব শক্তির উন্মেষ সাধন করিতে পারে না। কিন্তু এ আদর্শের অনুভূতি ও আস্বাদ জোর করিয়া কেহ দিতে পারে না। অনুভূতি ও আস্বাদ নিজে যে পায় নাই—সে অপরকে তাহা কি করিয়া দিবে?
স্বপ্ন অনেক ছিল, অনেকের আছে। আমাদের স্বর্গীয় নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ মহাশয়েরও একটা স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন ছিল তাঁর শক্তির উৎস; তাঁর আনন্দের নির্ঝর। তাঁর স্বপ্নের উত্তরাধিকারী আজ আমরা হইয়াছি। আমাদেরও তাই একটা স্বপ্ন আছে; এই স্বপ্নের প্রেরণায় আমরা উঠি, বসি, চলা-ফেরা করি, লিখি ও বলি এবং কাজকর্ম্ম করি। সে স্বপ্ন বা আদর্শ কি? আমি চাই একটা নুতন সর্ব্বাঙ্গীন-মুক্তি-সম্পন্ন সমাজ এবং
১০৬