পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

কংগ্রেস কমিটি নির্জ্জীব হইয়া পড়িয়াছে। দেশের বহু কর্ম্মী তখনও কারারুদ্ধ। এই দুর্য্যোগের মধ্যে আমরা অবতীর্ণ হই এবং ধীরে ধীরে আবার উৎসাহ ও শক্তি সঞ্চার করিবার চেষ্টা করি।

 আমরা আজ যে যুগসন্ধিস্থলে দাঁড়াইয়া আছি সে অবস্থায় যদি কাহাকেও কংগ্রেসের দায়িত্ব গ্রহণ করিতে হয়, তবে একদিকে তাহাকে জোড়াতালি দিয়া পুরাণ প্রোগ্র্যাম অনুসারে কাজ করিয়া যাইতে হইবে এবং সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য এবং ভবিষ্যতের সংগ্রামের জন্য দেশকে প্রস্তুত করিয়া যাইতে হইবে। যে প্রোগ্র্যাম লইয়া ১৯২১ সাল হইতে এত দিন আমরা চলিয়াছি, সে প্রোগ্র্যাম যথেষ্ট নয়। আমরা এ কয় বৎসরের চেষ্টার ফলে যত লোকের অন্তরে জাতীয় ভাব উদ্বুদ্ধ করিতে পারিয়াছি তাহাও যথেষ্ট নয়। এখন আমরা নূতন প্রোগ্র্যাম চাই—কিন্তু নূতন প্রোগ্র্যাম চাইবার পূর্ব্বে চাই নূতন মানুষ—যাহারা নূতন প্রোগ্র্যাম গ্রহণ করিতে পারিবে। এখনকার কংগ্রেসে আপনি নূতন প্রোগ্র্যাম লইয়া যান—কেহ তাহা গ্রহণ করিবে না—গ্রহণ করিলেও তাহা কাজে লাগাইবে না—অর্থাৎ অন্তরের সহিত গ্রহণ করিবে না। আমাদের মধ্যে একদল লোক আছেন যাঁহারা “প্রোগ্র্যাম, প্রোগ্র্যাম” বলিয়া কেবল চীৎকার করেন কিন্তু তাঁহারা তলাইয়া দেখেন না যে নূতন মানুষ তৈয়ারী না করিলে সে প্রোগ্র্যামের মূল্য বুঝিবে কে?

১১৯