পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

সেই মূলগত আকাঙ্ক্ষা হইতেছে স্বাধীনতা ও আপনাকে সার্থক করিবার আকাঙ্ক্ষা।

 দেশ আজ এমন একটী আন্দোলন চায়, যাহা ব্যক্তি ও জাতিকে সর্ব্বপ্রকারের বন্ধন হইতেই মুক্তি দিবে—তাহার আত্মপ্রকাশ ও সার্থকতার সকল পথই খুলিয়া দিবে। কেহ কেহ হয়তো যুব-আন্দোলনকে কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্ত একটী শাখা-আন্দোলনে পরিণত করিতে চাহেন; কিন্তু তাঁহারা ইহার উদ্দেশ্য ও সার্থকতা উপলব্ধি করিতে পারেন নাই।

 কংগ্রেস্ মূলতঃ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান; ইহার উদ্দেশ্য সীমাবদ্ধ। রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কেও কংগ্রেস্ এখনও পূর্ণ স্বাধীনতাকে লক্ষ্য বলিয়া গ্রহণ করেন নাই। তাই যে সকল তরুণ-তরুণী জীবনকে সমগ্রভাবে দেখিতে চাহেন এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রেই স্বাধীনতা অর্জ্জন করিতে চাহেন, তাঁহারা যে কংগ্রেসের মত শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিতে পারিবেন না এবং মানবহৃদয়ের সকল আকাঙ্ক্ষা ও জীবনের সকল কামনাকে পূর্ণ করিতে চাহে এমন একটী আন্দোলনের সহিত সংশ্লিষ্ট হইতে চাহিবেন, তাহাতে আশ্চর্য্য হইবার কিছুই নাই। তাই বুঝা যায়, যুব-আন্দোলন কেবল মাত্র রাজনৈতিক আন্দোলন না হইলেও রাজনীতি-ছাড়া নয়। ইহার উদ্দেশ্যের পরিধি জীবনের মতই ব্যাপক। ইহার সমগ্রতার মধ্যে জীবনের সকল ভিন্ন ভিন্ন দিকগুলিই রহিয়াছে বলিয়া

১৪১