পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

যেখানে আচার ও অবস্থা মানুষের বিবেকের ইঙ্গিতের বিরুদ্ধে যাইতে চাহে, সেখানে আচার ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ——যুব-আন্দোলনের ইহাই লক্ষ্য। তাহাদের মন্ত্র হইতেছে আত্মনির্ভরতা—অন্ধ ভক্তি ও বয়োবৃদ্ধদের অবিচল অনুবর্ত্তিতা হইতে তাহা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইহাতে যদি বয়োবৃদ্ধদের কেহ কেহ যুব-আন্দোলনকে সন্দেহ ও বিতৃষ্ণার চক্ষে দেখেন, তাহাতে আশ্চর্য্য হইবার কিছু নাই।

 আমাদের সমস্ত জীবনের ধারাকে নব নব পথে প্রবাহিত করা এবং নবীন আদর্শের অনুপ্রেরণায় সঞ্জীবিত করাই যুব-আন্দোলনের উদ্দেশ্য। আমরা জীবনের যে পুনর্গঠন করিতে চাই, এই আদর্শই তাহাকে নব অর্থ ও নব প্রেরণা দিবে। এই আদর্শ হইতেছে পূর্ণ সর্ব্বাঙ্গীন স্বাধীনতা ও আপনাকে চারিদিক দিয়া সার্থক করিয়া তোলা। স্বাধীনতা ও জীবনের সার্থকতা নিবিড় ও অচ্ছেদ্যভাবে পরস্পর-সম্বদ্ধ। স্বাধীনতা না থাকিলে নিজেকে সার্থক করা সম্ভব হয় না। এবং সার্থকতার দিকে জীবনকে লইয়া যায় বলিয়াই স্বাধীনতা এত মূল্যবান্।

 যুব-আন্দোলনের পরিধি জীবনের মতই ব্যাপক। তাই জীবনে যতগুলি দিক্ আছে, যুব-আন্দোলনেও ততগুলি দিক্ থাকিবে। শরীরকে সঞ্জীবিত করিতে হইলে আমাদিগকে ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যায়াম করিতে হইবে; হৃদয়কে মুক্ত ও নবশিক্ষা দ্বারা উদ্বুদ্ধ করিতে হইলে নূতনতর সাহিত্য, উচ্চতর ও উৎকৃষ্টতর শিক্ষাপ্রণালী

১৪৩