পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

স্বাধীনতার আদর্শকে প্রতিফলিত করিবেন, সেই মুহূর্ত্তেই চারিদিকে শত্রুর আবির্ভাব হইবে এবং সকল স্বার্থবান্ ব্যক্তিই আপনাদিগকে বিধ্বস্ত করিবার উদ্দেশ্য একত্রিত হইবে। একদিক হইতে দুর্দ্ধর্ষ শত্রুর সহিত সংগ্রাম করা সহজ—কিন্তু একযোগে চারিদিক হইতে আক্রমণ করিলে শত্রুদের সহিত যুদ্ধ করা কঠিন হইয়া দাঁড়ায়। যুব-আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের তাই কঠিন শত্রুর সহিত বিরোধে প্রবৃত্ত হইবার জন্য প্রস্তুত হইয়া থাকিতে হইবে।

 আরও একটা বিষয় আমাদিগকে সর্ব্বদা মনে রাখিতে হইবে, সেজন্য আমাদিগকে পূর্ব্বে হইতে প্রস্তুত হইয়া থাকিতে হইবে। রাজনৈতিক বা শ্রমিক আন্দোলনে জনসাধারণের উপর কর্ত্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য তাহাদের ভাব ও চিন্তার সহিত সহানুভূতি জানানো অনেক সময়ে প্রয়োজন, কিন্তু যুব-আন্দোলনে যোগ দিতে হইলে আপনাদিগকে জনপ্রিয় হইবার লোভ একেবারে ত্যাগ করিতে হইবে। কখনও কখনও জনমত গঠন করার বা জনসাধারণের মনের উচ্ছ্বাস দমন করার দায়ীত্বও আপনাদিগকে লইতে হইবে। যদি আপনারা জাতীয় জীবনের মূলগত সমস্যাগুলির সমাধান করিতে চাহেন, তবে আপনাদের সমসাময়িক ব্যক্তিগণের চেয়ে দৃষ্টিকে বহুদূর সম্মুখে প্রসারিত করিয়া রাখিতে হইবে। জনসাধারণের চিন্তা বর্ত্তমানের বন্ধন কাটিয়া ভবিষ্যতের রূপটীকে উপলব্ধি করিতে পারে না। দেশের ভবিষ্যতে অমঙ্গলের পথ রুদ্ধ করিয়া যদি

১৪৫