পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

 আমাদের জাতির বহুলোক—পুরুষানুক্রমে বহু জ্ঞান ও সম্পদ আহরণ করিয়া আসিতেছে। এতদিন পর্য্যন্ত সমস্ত জাতি সে জ্ঞান ও সে সম্পদের অধিকারী হইতে পারে নাই। আজ হইতে তাহাকে উহার অধিকারী করিয়া দিতে হইবে। সকলকে বুঝাইয়া দিতে হইবে যে, ভারতের প্রতিষ্ঠা আমরা করিতে চাই—সেখানে জাতিধর্ম্ম নির্ব্বিশেষে সকলের সমান অধিকার, সমান দাবী ও সমান সুযোগ থাকিবে। যে দিন সমস্ত দেশ এ কথা বুঝিবে সে দিন সমস্ত সমাজ মুক্ত হইবার জন্য অধীর ও উন্মত্ত হইবে।

 আর একটী কথা বলিয়া আমার বক্তব্য শেষ করিব। জাতির রক্তস্রোত যেন ক্ষীণ হইয়া আসিতেছে—এখন চাই নূতন রক্ত। ভারতের ইতিহাস পড়িয়া দেখ—বহুবার রক্ত সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে। এই রক্ত সংমিশ্রণের ফলে ভারতীয় জাতি বার বার মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া পুনর্জ্জীবন লাভ করিয়াছে। যাঁহারা বর্ণশঙ্করের ভয় করেন তাঁহারা আমাদের জাতির ইতিহাস জানেন না এবং তাঁহারা মানববিজ্ঞান (anthropology) সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। আজ অসবর্ণ বিবাহ অনুমোদন করিয়া রক্ত-সংমিশ্রণের সহায়তা করিতে হইবে। এখন এই রক্তসংমিশ্রণ ঘটাইবার জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করিবার প্রয়োজন নাই। আমাদের দেশে অসবর্ণ বিবাহ বহুকাল নিষিদ্ধ ছিল বলিয়া আমার মনে হয়

৩৩