পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

—৩—

 “আজিকার ছাত্র-আন্দোলন দায়িত্বহীন যুবক-যুবতীর একটা লক্ষ্যহীন অভিযান নহে। দায়িত্বশীল, কর্ম্মক্ষম যে সকল যুবক-যুবতী চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠিত করিয়া দেশের কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করিতে চান, ইহা তাঁহাদের আন্দোলন।”

 “স্বাধীনতা বলিতে আমি বুঝি সমাজ ও ব্যক্তি, নর ও নারী, ধনী ও দরিদ্র সকলের জন্য স্বাধীনতা। ইহা শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় বন্ধনমুজি নহে—ইহা অর্থের সমান বিভাগ, জাতিভেদ ও সামাজিক অবিচারের নিরাকরণ ও সাম্প্রদায়িক সঙ্কীর্ণতা ও গোঁড়ামির বর্জ্জনকেও সূচিত করে। এই আদর্শকে অবিবেচকেরা হয়ত অসম্ভব বলিবে—কিন্তু প্রাণের ক্ষুধাকে একমাত্র ইহাই শান্ত করিতে পারে।..সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ভারতবর্ষের ধ্যানমুর্ত্তিই আমার হৃদয়কে অধিকার করিয়া রহিয়াছে।...জীবনের একটীমাত্র উদ্দেশ্য আছে তাহা হইতেছে সকল প্রকার বন্ধন হইতে মুক্তি। স্বাধীনতার জন্য উদগ্র আকাঙ্ক্ষাই হইতেছে জীবনের সুর।...জগতের সভ্যতার প্রতি ভারতবর্ষের একটা নব অবদান আছে।...স্বাধীনতাই জীবন—স্বাধীনতার সন্ধানে জীবনদানে আছে অবিনশ্বর গৌরব।”

পঞ্জাব-নিবাসী ভাই-ভগিনীগণ,

 ঞ্চনদের পবিত্র ভূমিতে আমার এই প্রথম পদার্পণের দিনে আপনারা আমাকে যে সস্নেহ অভিনন্দন করিয়াছেন, তাহার জন্য আমার অন্তরের গভীরতম প্রদেশ হইতে ধন্যবাদ জানাইতেছি।

৩৬