এবং এই সঙ্গে এমন একটী কর্ম্ম তালিকা তাহাদিগকে দিতে হইবে, যাহাকে তাহারা যতদূর সম্ভব পালন করিবে। এই কর্ম্মে তাহারা হয়ত কর্ত্তাদের নিকটে অনেক বাধা পাইবে। যদি দুর্ভাগ্যক্রমে এই বিরোধ ঘটে, তবে ছাত্রদের পক্ষে নির্ভীক ও আত্মনির্ভরশীল হুইয়া চিন্তায় ও কর্ম্মে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়া ছাড়া আর উপায় নাই।
যে আদর্শকে আমরা সযত্নে পোষণ করিব, তাহার সম্বন্ধে আমার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করিবার পূর্বে আমি একটী কথা বলিতে চাই। ইউরোপের পদানত শৃঙ্খলিত এশিয়ার অবস্থা প্রত্যেক এশিয়াবাসীরই মনে দুঃখ ও অপমান বহিয়া আনে। কিন্তু একথা ভাবিলে ভুল করা হইবে যে, এশিয়ার অবস্থা চিরদিনই এরূপ ছিল। ইতিহাসের সাক্ষ্য হইতে জানা যায় যে, প্রাচীন কালে এশিয়া ইউরোপের বহু অংশ জয় করিয়া সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছিল। সে দিন ইউরোপ এশিয়ার নামে ভয়ে কম্পিত হইয়া উঠিত। সে অবস্থার আজ পরিবর্তন হয়ত হইয়াছে, কিন্তু তাহাতে নিরাশার কারণ কিছুই নাই। আজ এশিয়া তাহার দাসত্ব-শৃঙ্খল মোচনের উদ্যোগ করিতেছে এবং অদূর ভবিষ্যতে একদিন শক্তি ও গৌরবে ভাস্বর হইয়া স্বাধীন জাতি সমূহের মধ্যে তাহার নির্দিষ্টস্থানে আসন গ্রহণ করিবে।
পাশ্চাত্যের ব্যস্তবাগীশগণ কখনও কখনও এই প্রাচীন প্রাচ্যকে