পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

“অপরিবর্ত্তনশীল” বলিয়া নিন্দা করিয়া থাকে—যেমন কিছুদিন পূর্ব্বেও তাহারা তুরষ্ককে “ইউরোপের অসুস্থ জাতি” বলিয়া অভিহিত করিত। কিন্তু এই নিন্দা এসিয়া বা তুরষ্ক কাহারও পক্ষে সত্য নয়। সমস্ত প্রাচ্যদেশ আজ নব জাগরণের বিপুল শক্তিতে টলমল। সর্ব্বত্রই পরিবর্ত্তন, উন্নতি এবং সমাজব্যবস্থার সঙ্গে বিরোধ জাগিয়া উঠিয়াছে। যতদিন ইচ্ছা প্রাচ্য অবশ্য অপরিবর্ত্তনশীল থাকিতে পারে, কিন্তু একবার পরিবর্ত্তন আরম্ভ করিলে প্রাচ্য পাশ্চাত্যের বহু সম্মুখে অগ্রসর হইতে পারে। আজ এসিয়ায় তাহাই ঘটিতেছে।

 মাঝে মাঝে কেহ প্রশ্ন করেন—আজ এসিয়া, বিশেষ করিয়া ভারতবর্ষে যে চাঞ্চল্য দেখিতেছি, তাহা কি সত্য সত্যই জীবনের চিহ্ন, না বাহিরের উত্তেজনার একটা প্রতিক্রিয়া মাত্র? আমি মনে করি, নব নব সৃষ্টিই জীবনের লক্ষণ। যখন দেখিতে পাই যে, বর্ত্তমান আন্দোলনে একটা নূতন পথ কাটিয়া নব নব সৃষ্টির উদ্যম পূর্ণ বেগে চলিতেছে, তখনই বুঝিতে পারি যে, সত্য সত্যই জাতির নবজাগরণ আসিয়াছে, এবং ইহা সত্য সত্যই অন্তরের মধ্য দিয়া পুনঃ চেতনার গভীর আলোড়ন।

 ভারতবর্ষে আজ আমরা একটা ভাবধারার ঘূর্ণাবর্ত্তের মাঝখানে রহিয়াছি। তাহার চারিদিক দিয়া বহু অনুকুল ও প্রতিকূল স্রোত বহিয়া চলিয়াছে। এই তুমুল মিশ্রণের অব্যবস্থার মধ্যে সাধারণ

৪৭