পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

লোক ভালমন্দ ন্যায় অন্যায়ের মধ্যে প্রভেদ করিতে পারে না। কিন্তু আজ যদি আমাদিগকে জাতির লুপ্ত শক্তিকে ফিরাইয়া আনিয়া তাহাকে লক্ষ্যপথে চালাইতে হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য কি এবং কেমন করিয়া সেই লক্ষ্যে পৌঁছান যায়, তাহার সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণ। করিতে হইবে।

 একটা তিমির-যুগ পার হইয়া ভারতবর্ষের সভ্যতা আজ নবজীবনের পথে চলিয়াছে। ফিনিসীয়া ও ব্যাবিলনের সভ্যতার মত এই সভ্যতা স্বাভাবিকভাবে বিলুপ্ত হইবে কি না, একদিন সেই ভাবনা ছিল, কিন্তু আবার তাহা কালের অত্যাচার কাটাইয়া উঠিয়াছে। আবার নূতন করিয়া বাঁচিতে হইলে আমাদিগকে চিন্তাজগতে একটা ভাব-বিপ্লব আনিতে হইবে এবং জীবজগতে নব-রক্তের সংমিশ্রণ করিতে হইবে। ইতিহাসের এবং মনীষিগণের মত মানিতে হইলে স্বীকার করিতে হইবে যে, এই এক উপায়েই প্রাচীন জীর্ণ সমাজকে শক্তিমান্ করিয়া তোলা সম্ভব। আমার কথায় বিশ্বাস না হইলে আপনারা সভ্যতার উত্থান-পতনের নিয়মটী নিজের চেষ্টায় আবিষ্কার করুন। এই নিয়মটী আবিষ্কার করিতে পারিলেই আমরা দেশবাসীকে পরামর্শ দিতে পারিব, উন্নতিশীল, শক্তিধর জাতি সৃষ্টি করিতে হইলে কি পথ অবলম্বন করিতে হইবে।

 ভাবজগতে বিপ্লব আনিতে হইলে আমাদিগকে এমন একটী আদর্শকে চোখের সম্মুখে আনিয়া ধরিতে হইবে, যাহা বিদ্যুতের

৪৮