পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

আর কিছুই মনে করিতে পারি না। তবে আমার এই বিশ্ব-বিদ্যালয় আপনাদের বিশ্ব-বিদ্যালয় হইতে একটু বড় এবং ব্যাপক। ইহাকে “জীবনের বিশ্ব-বিদ্যালয়” বলিলেই ঠিক হয়। আমি এখন জীবন সংগ্রামে ব্যাপৃত, নিত্য নূতন উপদেশ এবং অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করাই আমার বর্ত্তমান কাজ। তথাপি আমার মনে হয়, ছাত্র জীবনের আদর্শবাদ, কল্পনা ও ভাবুকতা একেবারে আমাকে ছাড়িয়া যায় নাই। সুতরাং আমার পক্ষে আপনাদের অভাব অভিযোগ, সুখ দুঃখ এবং আশা আকাঙ্ক্ষার কথা উপলব্ধি করা বোধহয় একান্ত অসম্ভব হইবে না।

 তথাপি আমার একটা সন্দেহ আছে—তাহা এই যে, ছাত্র সম্মিলনের সভাপতি হইবার যোগ্যতা আদৌ আমার আছে কিনা? কারণ, ছাত্র জীবনের “সচ্চরিত্রতার” দিক হইতে বিচার করিলে বলিতে হয়, আমার নিজের ছাত্র জীবন নিষ্কলঙ্ক ছিল না। এখনও সেদিনের কথা আমার স্পষ্টই মনে হইতেছে, যেদিন প্রিন্সিপাল সাহেব আমাকে ডাকাইয়া নিয়া আমার উপর দণ্ডাদেশ জারী করিয়াছিলেন, কলেজ হইতে আমাকে সস্‌পেণ্ড করিয়াছিলেন। তাঁহার কথাগুলি এখনও আমার কাণে বাজিতেছে। তিনি বলিয়াছিলেন—“কলেজের মধ্যে তুমিই সর্ব্বাপেক্ষা দুরন্ত ছেলে।”

 আমার জীবনের সেইটি একটি স্মরণীয় দিন। বলিতে গেলে, নানা দিক দিয়াই সেদিন হইতে আমার জীবনের সম্পূর্ণ নূতন

৫৬