পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ছাত্র আন্দোলন

যৌবন ফিরাইয়া আনিতে হইলে—সমগ্র ভারতে একটি জাতি গঠন করিতে হইলে ভাল ও মন্দ সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা এতদিনে বদ্ধমূল হইয়াছে তাহার পরিবর্ত্তন করিতে হইবে। দার্শনিকের ভাষায় বলিতে গেলে, সামাজিকতা ও নৈতিকতার মাপ কাঠিতে যে জিনিষের যে মূল্য আমরা এখন দিয়া থাকি আবার নূতন করিয়া নূতনভাবে তাহার মূল্য নিরূপণ করিতে হইবে।

 বিশেষ অভিনিবেশের দরকার নাই—দূর হইতে সাধারণভাবে লক্ষ্য করিলেও একটা কথা ধরা পড়ে। তাহা এই যে, বর্ত্তমান যুগের অধিকাংশ আন্দোলনই তেমন দূরপ্রসারী নহে; এগুলির প্রায় প্রত্যেকটিই একান্ত অগভীর। ইহারা সমগ্র জাতির অন্তরে সাড়া জাগাইতে পারে নাই,—কেবল আমাদের সমাজ ও জাতির বাহ্যিক অভাব অভিযোগের এক আধটু স্পর্শ করিয়াই ক্ষান্ত হইতেছে। এ সমস্ত আন্দোলন দ্বারা যে কোন কাজই হয় না বা হইতে পারে না—এ কথা বলিতেছি না। ইহাদের দ্বারা খুব সামান্য কাজই হইতে পারে। মোটের উপর সমগ্র জাতিকে জাগ্রত করিতে হইলে এরূপ অগভীর আন্দোলন দ্বারা বিশেষ কোন কাজ হইবে না, হইতে পারে না। আমরা চাই—জাতীয় জাগরণ, বাহ্যিক নহে—আন্তরিক জাগরণ। সমগ্র জাতির প্রাণে সাড়া জাগাইতে হইবে। অত্যল্প সময়ের মধ্যে তাহা কিরূপে

৫৯