পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

আমি ইহাও বলিয়াছি যে, আমাদের বর্ত্তমান গতানুগতিক জীবনের একটা আমূল পরিবর্ত্তন আবশ্যক। জাতি হিসাবে বড় হইতে হইলে এবং জগতের সভ্য জাতিসমূহের মধ্যে গৌরবের আসন অধিকার করিতে হইলে ইহাই আমাদের একমাত্র পথ। সেই জীবনেরই একমাত্র সার্থকতা আছে, মূল্য আছে এবং অর্থ আছে —যে জীবনের সম্মুখে একটা বৃহত্তর ও মহত্তর আদর্শ রহিয়াছে। যে জাতি উন্নতি করিতে চায় না, বিশ্বসভায় বিশেষত্ব লাভ করিতে চায় না সে জাতির পক্ষে বাঁচিবার কোনই প্রয়োজন নাই— এমন কি, বাঁচিবার কোন অধিকারই তাহার নাই। আমি একথা বলি না যে, কোনও স্বার্থগত উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্যই এক একটা জাতির পক্ষে উন্নতির চেষ্টা করা দরকার। সমগ্র মানব সমাজকে উদার ও মহৎ করিয়া তুলিবার জন্যই প্রত্যেক জাতিকে উন্নত হইতে হইবে। যাহাতে পরিশেষে এই বিশ্বজগৎ মানব জাতির বসবাসের পক্ষে অধিকতর সুখকর ও কল্যাণকর হয় তাহারই চেষ্টা করিতে হইবে।

 একটা জাতিকে উন্নতিশীল করিতে হইলে যে সমস্ত উপাদানের প্রয়োজন হয় তৎসমস্ত উপাদানই ভারতের আছে। কি জাগতিক, কি আধ্যাত্মিক,কি নৈতিক কোনও রূপ উপাদানেরই অভাব এখানে নাই। ভারতবর্ষ যে কত প্রাচীন তাহা এখনও নির্দ্ধারিত হয় নাই; তথাপি সে মরে নাই; এখনও ভারতবর্ষ জীবিত আছে।

৬২