পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নূতনের সন্ধান

অনুগামী হইবে। এই ক্রমিক পরিবর্ত্তনের অনুভূতি যে কিরূপ তাহা বর্ণনা করা যায় না। এই পরিবর্ত্তন যখন সম্পূর্ণ হইবে, তখন আমাদের পুনর্জ্জন্ম হইবে; আমরা তখন প্রকৃত “দ্বিজ” হইব। অতঃপর আমরা কেবল স্বাধীনতার কথাই চিন্তা করিব, স্বাধীনতার স্বাদ-ই উপলব্ধি করিব এবং স্বাধীনতার কাহিনী-ই স্বপ্নে দেখিব। আমাদের সমস্ত কাজ কর্ম্মের মধ্য দিয়া তখন একটি মাত্র অভিপ্রায় প্রকাশ পাইবে—সেইটি হইবে স্বাধীনতা লাভের ঐকান্তিক আগ্রহ। এক কথায় বলিতে গেলে, আমরা তখন স্বাধীনতার নেশায় মত্ত হইব—স্বাধীনতাই তখন আমাদের জীবনের সর্ব্বস্ব বলিয়া পরিগণিত হইবে।

 প্রাণের মধ্যে একবার স্বাধীনতা লাভের অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হইলে ইহাকে চরিতার্থ করিবার জন্য উপযুক্ত উপায় অবলম্বন করিতে হইবে। এই উদ্দেশ্যে আমাদের সমস্ত শক্তি—শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক শক্তি সমূহ নিয়োগ করিতে হইবে। আমরা যে সমস্ত বিষয় লিখিয়াছি তাহার অনেকটা ভুলিতে হইবে এবং যাহা কখনও আমাদিগকে শিখান হয় নাই এমন অনেক বিষয় আমাদিগকে সর্ব্বপ্রথম শিক্ষা করিতে হইবে। স্বাধীনতা লাভের যে গুরু কর্ত্তব্যভার ইহাকে বহন করিবার জন্য শরীর ও মনকে নূতন করিয়া গঠন করিতে হইবে, নূতন শিক্ষায় শিক্ষিত করিতে হইবে, আমাদের জীবনের বাহ্যিক

৬৬