পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

দেখিল যে তাহাদের নেতৃত্বের ফলে মহাযুদ্ধে সমগ্র জার্ম্মাণ জাতিকে পরাজয়ের লাঞ্ছনা ও দৈন্য় বরণ করিতে হইল; তখন জার্ম্মাণীতে তরুণের আন্দোলন শক্তিশালী হইয়া উঠিল। মাঞ্চুরাজবংশকে স্বীয় ভাগ্যনিয়ন্তা করিবার ফলে সমগ্র চীন জাতি যখন শৌর্য্য, বীর্য্য, স্বাধীনতা ও সম্পদ হারাইতে লাগিল, তখন চীন দেশে তরুণের জাগরণ আরম্ভ হইল। যে পরিমাণে তরুণ সম্প্রদায় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়া পাইয়াছে এবং দায়িত্বজ্ঞান-প্রণোদিত হইয়াও সম্পূর্ণরূপে আত্মনির্ভরশীল হইয়া স্বীয় জাতির উদ্ধার সাধনে বদ্ধপরিকর হইয়াছে সেই পরিমাণে তরুণ আন্দোলনের প্রসার হইয়াছে। আজ যে আমরা ভারতের একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত তরুণের জাগরণ দেখিতেছি তাহার অর্থ—এই ভারতের তরুণশক্তি আত্মবিশ্বাসী হইয়াছে, স্বীয় জাতির উদ্ধারসাধনের ভার গ্রহণ করিয়াছে এবং আরব্ধ ব্রত উদ্‌যাপনের জন্য সাধনায় প্রবৃত্ত হইয়াছে।

 কেহ কেহ অজ্ঞতা বশতঃ মনে করিয়া থাকেন যে যুব-আন্দোলন রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলনের নামান্তর মাত্র—কিন্তু এ ধারণা সত্য নয়। ফুল যখন ফোটে তখন প্রত্যেক পাপড়ির মধ্যে তার সুষমা ও সৌরভ আত্মপ্রকাশ লাভ করে। বহুদিন শয্যাশায়ী থাকার পর মানুষ যখন পূর্ব্বস্বাস্থ্য ফিরিয়া পায় তখন শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের ভিতর দিয়া শক্তি, তেজ ও

৭৯