নূতনের সন্ধান
প্রফুল্লতা ফুটিয়া উঠে। শৈশব ও কৈশোর পার হইয়া আমরা যখন যৌবন-রাজ্যে অভিষিক্ত হই তখন প্রকৃতিদেবী সকল সম্পদে আমাদিগকে ভূষিত করেন। শারীরিক শক্তি, মানসিক তেজ, নৈতিক বল, শোর্য্য, বীর্য্য—সব দিক দিয়া আমরা মানুষ হইয়া উঠি। ব্যক্তির জীবনে যতগুলি দিক আছে এবং জাতির জীবনে যতগুলি দিক আছে—ততগুলি দিক আছে যুব-আন্দোলনের। এই বিচিত্র আন্দোলনের বিভিন্ন রূপের মধ্যে কোনও রূপটি হেয় নয়। এই রূপের সমষ্টিতে যে অভিনব সৌন্দর্য্য-সৃষ্টি হয় তাহাই যুবক মাত্রেরই কাম্য ও সাধ্য। যুব-আন্দোলন রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলন নয়, কিন্তু তা বলিয়া ইহা non-political নয়; রাজনীতি বর্জ্জন করা এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য নয়। এই আন্দোলনে রাষ্ট্র নীতির স্থান আছে, যেমন জাতীয় আন্দোলনেও রাষ্ট্রনীতির স্থান আছে। কিন্তু তার জন্য আমরা বলিতে পারি না যে জাতীয় আন্দোলন—রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলন মাত্র।
কাব্য, সাহিত্য, শিল্পকলা, দর্শনবিজ্ঞান, ব্যবসায়-বাণিজ্য, ব্যায়াম ক্রীড়া, সমাজ ও রাষ্ট্র এই সবের মধ্য দিয়া জাতীয় জীবনের বিকাশ হইয়া থাকে। সুতরাং এই সবের ভিতর দিয়া তরুণের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়া থাকে। অন্তরের প্রাণ যখন জাগে তখন সুপ্তোত্থিত প্রাণধারা শতমুখী হইয়া নিজেকে প্রকট করে। কোন্ মন্ত্রবলে সুপ্তশক্তির বোধন হইতে পারে তাহাই অনুসন্ধানের বিষয়।
৮০