পাতা:নূতনের সন্ধান - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যুব-আন্দোলন

এবং তাহার দ্বারা কোনও জাতির প্রকৃত কল্যাণ হয় না। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা এখন ব্যর্থ হইবেই হইবে কারণ আজ অনেক জাতি শৃঙ্খলিত ও পরপদদলিত। যে পর্য্যন্ত তাহারা সকলে মুক্ত না হইতেছে সে পর্য্যন্ত শান্তির অর্থ দাসত্ব ও পরাধীনতা। তথাপি এ কথা স্বীকার করিতে হইবে যে যদি কোনও দিন পৃথিবীতে শান্তি সংস্থাপিত হয়—তবে বিশ্বের তরুণ সমাজই তাহার স্থাপনা করিবে।

 শান্তি সংস্থাপনের চেষ্টা ব্যতীত অন্যান্য অনেক বিষয়ে দেশ বিদেশের তরুণেরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করিতে শিখিবে। মানুষের স্বভাব সব দেশেই মোটের উপর একই রকম এবং মানব-জীবনের সমস্যাগুলি সর্ব্ব দেশে ও সর্ব্ব যুগে প্রায় একই প্রকার। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশের তরুণ সমাজ আন্তর্জাতিকার সূত্রে আবদ্ধ হইলে যে পরস্পরের সাহায্য করিতে পারেন একথা আমরা সহজেই বুঝিতে পারি।

 জাতীয়তার দিক হইতে যুব-আন্দোলনের উদ্দেশ্য—নূতন আদর্শে নুতন জাতি গড়িয়া তোলা। নূতন জাতি সৃষ্টি করিতে হইলে জাতীয় অভ্যুত্থান ও পতনের নিয়ম বা কারণ প্রথমে আবিষ্কার করিতে হইবে। আমরা মনে করিতে পারি যে প্রাচীন কাল হইতে বিভিন্ন জাতীয় যে অভ্যুত্থান ও পতন দেখা যাইতেছে ইহার পশ্চাতে বিধির কোন বিধান নাই। এই বিষয়ে পাশ্চাত্য দেশে বহু চিন্তা ও গবেষণা হইয়া গিয়াছে এবং কোন কোন বৈজ্ঞানিক এই

৮৩