পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

২৩শে জানুয়ারী উড়িষ্যার প্রধান সহর কটকে সুভাষচন্দ্রের জন্ম হয়। সুভাষচন্দ্রের পিতার নাম স্বর্গীয় জানকীনাথ বসু। তিনি কটকে ওকালতী করিতেন। তখন উড়িষ্যা বাংলা প্রদেশের অন্তর্গত ছিল। জানকীনাথ তাহার গভীর পাণ্ডিত্য ও আইন জ্ঞানের জন্য সরকারী উকিল পদ প্রাপ্ত হন এবং স্থানীয় উকিল সমিতির নেতা ছিলেন। তিনি খুব উদার প্রকৃতির ও জনপ্রিয় লোক ছিলেন। জনপ্রিয়তার জন্য তিনি অনেক বৎসর কটক মিউনিসিপ্যালিটি ও জেলাবোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ অলঙ্ক‌ৃত করেন। এই সব জনহিতকর কার্য্যের জন্য রাজসরকার তাঁহাকে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি দেন। জানকীনাথের দেশপ্রেমও কম ছিল না। আইন অমান্য আন্দোলন দমন করিবার জন্য ভারত সরকার কঠোর নীতি অবলম্বন করেন। জানকীনাথ এই নীতির প্রতিবাদে রাজপ্রদত্ত ‘রায় বাহাদুর’ খেতাব ত্যাগ করেন।

 সুভাষচন্দ্রের মাতা শ্রীযুক্তা প্রভাবতী দেবী একজন আদর্শ হিন্দুমহিলা। তিনি অত্যন্ত ধর্ম্মপ্রাণা, দানশীলা, পরদুঃখকাতরা রমণী। তাঁহার স্বামী প্রভূত অর্থ উপার্জন করিলেও প্রভাবতী সাধারণভাবে থাকিতেন এবং তাঁহার পুত্রকন্যাদিগকে সাধাসিধে ধরণে মানুষ করেন।

 মাতাপিতা পুত্রকন্যাদের নিকট জীবন্ত আদর্শ। পৃথিবীতে যে সকল লোক সামান্য অবস্থা হইতে বড় হইয়াছেন, তাঁহারা বাল্যকালে মা-বাপের নিকট হইতে শিক্ষা ও প্রেরণা লাভ করিয়াছেন। শিবাজী, বিদ্যাসাগর, নেপোলিয়ন এব্রাহাম,