পাতা:নেতাজীর জীবনী ও বাণী - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুভাষচন্দ্রের জীবনী ও বাণী

লিন্কল‍্ন প্রভৃতি মহাপুরুষদের জীবনে মায়ের শিক্ষার প্রভাব প্রত্যক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। শিবাজীর মাতা শিবাজীকে বাল্যকালে ভারতীয় বীরদের কাহিনী শুনাইতেন। সেইজন্য শিবাজী এত বড় বীর হইয়াছিলেন। পিতা জানকীনাথের তেজস্বিতা ও স্বদেশপ্রেম এবং মাতা প্রভাবতীর ধর্ম্মপ্রাণতা, সহৃদয়তা, সারল্য পুত্র সুভাষচন্দ্রের জীবনকে বহুলাংশে প্রভাবান্বিত করিয়াছিল।

 জানকীনাথের আটটি পুত্র ও ছয়টি কন্যার মধ্যে ছয়টি পুত্র ও দুইটি কন্যা জীবিত আছেন। ছয় পুত্রের নাম শ্রীসতীশচন্দ্র বসু, শ্রীশরৎচন্দ্র বসু, সুরেশচন্দ্র বসু শীসুধীর চন্দ্র বসু, ডাঃ সুনীলচন্দ্র বসু ও শ্রীসুভাষচন্দ্র বসু। সতীশচন্দ্র ও শরৎচন্দ্র কলিকাতা হাইকোর্টের সুবিখ্যাত ব্যারিষ্টার। শরৎচন্দ্র ভারতের একজন শ্রেষ্ঠ জননায়ক। সুনীলচন্দ্র কলিকাতার বিখ্যাত চিকিৎসক। সব ভাইদের মধ্যে শরৎচন্দ্র শৈশবকাল হইতে সুভাষকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন। পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনেও যখন সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস উপরওয়ালাদের বিরাগভাজন হইয়াছিলেন তখন শরৎচন্দ্র ছোট ভায়ের কার্য্যাবলীর অনুমোদন করিয়াছিলেন।

 বাল্যকাল—সুভাষচন্দ্র পাঁচ বৎসর হইতে বার বৎসর পর্যন্ত কটকে খৃষ্টীয় মিশনারী (পাদ্রী) স্কুলে পাঠ করেন। বিদেশী স্কুলে পাঠ করিলেও বিদেশী সভ্যতার ও সমাজের কোন খারাপ প্রভাব তাঁর চরিত্রে প্রবেশ করে নাই। বরঞ্চ সুভাষচন্দ্র