তিনি তাহাদের ব্রিটিশ-বিরোধী মনোভাবের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করিবার উদ্দেশ্যে ভারতীয় বাহিনীকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “জাপান পূর্ব্ব-এসিয়ার সমস্ত জাতিকে স্বাধীন ও মুক্ত দেখিবার অভিলাষী; কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা ব্যতীত সুদূর প্রাচ্যের পরিস্থিতি কখনও ভাল হইতে পারে না। সুতরাং ভারতের উক্ত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জাপ-সরকার সকল রকম সাহায্য ও সহযোগিতা করিতে প্রস্তুত। কাজেই আমি আপনাদিগকে যুদ্ধবন্দীরূপে দেখিতে চাহি না। আমাদের পক্ষ হইতে বলিতে পারি, আপনারা স্বাধীন। আমি ক্যাপ্টেনমোহন সিংএর হস্তে আপনাদিগকে সমর্পণ করিতেছি।”
ক্যাপ্টেনমোহন সিং তখন তাঁহার সেনাবাহিনীকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “বর্ত্তমানে ভারতের স্বাধীনতা অর্জ্জনের জন্য ভারতীয়দের যুদ্ধ করিবার সুযোেগ আসিয়াছে।”
মেজর ফুজিয়ারার উদ্দেশ্য ছিল, জাপানের তাঁবেদার হিসাবে একটি ভারতীয় সমিতি খাড়া করিতে হইবে; কিন্তু ভারতীয়গণ মেজর ফুজিয়ারাকে কোনরূপে এড়াইবার জন্য বলেন যে, এ বিষয়ে তাঁহারা আরও গভীর ভাবে চিন্তা করিবেন এবং প্রয়োজন হইলে মেজর ফুজিয়ারার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন।
ইছার পর ৯ই এবং ১০ই মার্চ্চ, ১৯৪২ সালে মালয়ের বিভিন্ন স্থান হইতে আগত ভারতীয় নেতৃবৃন্দ সিঙ্গাপুরে একটি সভা করেন। সিঙ্গাপুরের সভায় স্থির হয় যে, টোকিওতে একটি শুভেচ্ছা দল-পাঠান হইবে।