সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার অভিযোগে অপরাধী। ক্যাপ্টেন শা নওয়াজ তদুপরি নরহত্যার সহায়তার অভিযোগেও অপরাধী সাব্যস্ত হইয়াছেন। ক্যাপ্টেন সাইগলকে নরহত্যার সহায়তা ও লেফ্টেন্যাণ্ট ধীলনকে নরহত্যার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে।
বিচারে সামরিক আদালত তাঁহাদের সকলকেই যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং তাঁহাদিগকে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করিবার ও তাঁহাদের প্রাপ্য বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু সামরিক আদালত কর্ত্তৃক প্রদত্ত দণ্ড বা রায় জঙ্গীলাট-কর্ত্তৃক অনুমোদিত না হইলে কার্য্যকরী হয় না। সুখের বিষয়, জঙ্গীলাট বাহাদুর অফিসারত্রয়ের প্রতি যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডের আদেশ মার্জ্জনা করিয়াছেন; শুধু চাকরী হইতে বরখাস্ত ও ভাতা বাজেয়াপ্তের আদেশই বলবৎ রহিয়াছে
দুঃখের বিষয়, প্রথম বিচার-পর্ব্বের ন্যায় অপর বিচারপর্ব্বগুলি শাসকবর্গের দূরদৃষ্টির পরিচায়ক বলিয়া মনে হয় নাই। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, আজাদ-হিন্দ ফৌজের অন্যতম অভিযুক্ত সৈন্যাধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন রসিদ সাত বৎসর কারাবাসের আদেশে দণ্ডিত হইয়াছেন। তাঁহার এই কঠোর দণ্ডে সমগ্র দেশব্যাপী—হিন্দু-মুসলমান সকলের হৃদয়েই যে ক্ষোভের সঞ্চার হইয়াছে, তাহা আত্মপ্রকাশ করায় স্থানে-স্থানে অতি চরম পরিণতি ও শোচনীয় দুর্ঘটনার সৃষ্টি করিয়াছে। সম্প্রতি ক্যাপ্টেন বুরহানউদ্দিনের