পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
নেপালে বঙ্গনারী।

দেবীর কৃপায় সুবর্ণ ধারা নির্ম্মাণ করেন। তিনি রক্ষাকালী ও নবদুর্গা প্রতিষ্ঠা করেন। এইরূপে বর্ত্তমান কাটমণ্ডু সহরের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। নেপালে বর্ম্ম উপাধীধারী ক্ষত্রিয় রাজ বংশই মল্লরাজ বংশের পূর্ব্বে রাজত্ব করিয়াছিল। এই বর্ম্ম রাজগণের শেষ দুইজন নৃপতির অব্যবহিত পূর্ব্বের রাজা, তিনটী পুত্র রাখিয়া গতাসু হন। তাঁহার তিনটী পুত্র যথাক্রমে নেপালে রাজত্ব করেন। কিন্তু তাঁহাদের কোন পুত্র ছিল না। একজনের সত্যনায়িকা দেবী নামে কেবল এক কন্যা ছিল। এই কন্যাটী নেপালের রাজ্ঞী হন। বারানসীর রাজা হরিশ্চন্দ্র দেবের সহিত নেপালের এই রাণীর বিবাহ হয়। ইঁহাদের রাজলক্ষ্মী নামে এক মাত্র কন্যা জন্মে। সত্যনায়িকা দেবীর মৃত্যুর পর রাজলক্ষ্মী নেপালের সিংহাসনে আরােহণ করিলেন। কিন্তু কতিপয় দিবসের মধ্যে জয়দেব নামে একজন জ্ঞাতি কর্ত্তৃক সিংহাসনচ্যুত হন। ১৩২২ খৃষ্টাব্দে মিথিলার অধিপতি হরিসিংহ দেব মুসলমানগণ কর্ত্তৃক রাজ্যভ্রষ্ট হইয়া নেপালে আশ্রয় লাভ করেন। এই হরিসিংহ দেব নেপালে জয়দেবকে পরাজিত করিয়া নেপালের সিংহাসন অধিকার করেন। ইঁহাদের উপাধি মল্ল ছিল। পৃথ্বীনারায়ণের নেপাল আক্রমণের সময় পর্য্যন্ত এই রাজবংশই কাটমণ্ডুর উপত্যকায় রাজত্ব করিতে ছিলেন।

 ১৬৩৯ খৃষ্টাব্দে এই বংশেরই রাজা প্রতাপমল্ল কাটমুণ্ডের সিংহাসনে আরােহণ করেন। তিনি অতি পণ্ডিত এবং শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন। ইনি মহামারী নিবারণের জন্য রাজ বাড়ীর সম্মুখে