পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৮০

উঠিল। তখন রাজ্যের কতিপয় প্রধান পুরুষ রণবাহাদুরের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা শের বাহাদুরের সহিত মিলিত হইয়া মহারাজের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি পাইবার জন্য এক চক্রান্তে লিপ্ত হইল। রণবাহাদুর এ চক্রান্তের বিষয় অবগত হইয়া ভীমসেন থাপার পরামর্শে তৎক্ষণাৎ শের বাহাদুরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন এবং নেপালের পশ্চিমাংশে যে সৈন্যদল প্রেরিত হইয়াছিল তাহাদের সহিত মিলিত হইতে আদেশ করিলেন। শের বাহাদুর অতি অবজ্ঞাসূচক ভাষায় এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করিলে রণবাহাদুর অমনি তাঁহার মস্তকচ্ছেদনের আজ্ঞা দিলেন। এই কথা শুনিয়া শের বাহাদুর হস্তস্থিত তরবারির দ্বারা রণবাহাদুরকে আক্রমণ করিলেন। এ দিকে বালনুর সিংহ কনওয়ার নামে এক প্রধান থাপা তাঁহাকে হত্যা করিয়া ফেলিল। এক মুহূর্ত্তের মধ্যেই দুই ভ্রাতাই নিধনপ্রাপ্ত হইলেন। এই বালনুর সিংহ কনওয়ারই সুপ্রসিদ্ধ জঙ্গ বাহাদুরের পিতা। বালনুর সিংহের এই কার্য্যের জন্য তাঁহাকে পুরুষানুক্রমে বিশেষ সম্মানিত করা হয়। রণবাহাদুরের মৃত্যুতে ভীমসেন থাপার ক্ষমতা অপ্রতিহত হইল। প্রধান মন্ত্রী রূপে তিনি এবং মহারাণী ত্রিপুরাসুন্দরী অতি যোগ্যতার সহিত রাজ্যশাসন করিতে থাকেন। রণবাহাদুরের মৃত্যুর সময় গৃবাণ যুদ্ধ বিক্রম দশ বৎসরের বালক মাত্র ছিলেন। রণবাহাদুরের সহিত কনিষ্ঠ মহারাণী সহমৃতা হইয়াছিলেন। ভীমসেনের বিশেষ ইচ্ছায় এইরূপ হইয়াছিল। রণবাহাদুরের মৃত্যুর পরও শের সাহের চক্রান্তে লিপ্ত এই অনুযোগ দিয়া ভীমসেন স্বীয় বিরোধীদিগকে হত্যা করেন। ইতিপূর্ব্বে