পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৯১

এবং রণজিৎ পাঁড়ে অতিশয় নিষ্ঠুর এবং ন্যায়বিরুদ্ধ আচরণ সকল করিয়া প্রজাদিগকে রাজাধিরাজের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করিতে চেষ্টা করিলেন। সৈন্যদিগের ভাতা কমাইয়া দিয়া বিদ্রোহের সূচনা করেন। রামনগর বলপূর্ব্বক দখল করাতে ইংরাজের সহিত যুদ্ধের সূচনা হওয়াতে অগত্যা রামনগর ছাড়িয়া দিতে নেপালরাজ বাধ্য হন। সেই সময়ে ইংরাজদিগের সহিত যে সন্ধি হয় তদ্দারা পাঁড়েদিগকে মন্ত্রিপদ হইতে অপসারিত করিতে মহারাজ বাধ্য হন। তখন রঘুনাথ পণ্ডিত এবং তাঁহার ভ্রাতা রাজভক্ত কৃষ্ণরাম, ফতেজং চৌতুরিয়া তাঁহার ভ্রাতা গুরুপ্রসাদ, দলভঞ্জন পাঁড়ে এবং অভিরাম রাণাকে লইয়া এক মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। এই সময় রাজ্যে অত্যন্ত বিশৃঙ্খলা উপস্থিত হইল। রাজেন্দ্র বিক্রমের জ্যেষ্ঠা মহিষী পাঁড়েদিগের সহিত গোপনে সর্ব্বদাই চক্রান্ত করিতেন। রাজাধিরাজ সকল কার্য্যের অযোগ্য হইয়াও প্রত্যেক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতেন। রাজকুমার তখন দ্বাদশবর্ষীয় বালকমাত্র; কিন্তু তাঁহার নিষ্ঠুর এবং দুর্দ্দমনীয় প্রকৃতিবশতঃ নিয়ত সকলের উপর অমানুষিক অত্যাচার করিয়া স্বীয় পৈশাচিক প্রকৃতি চরিতার্থ করিত।

 ইতি মধ্যে ১৮৪০ সালে জ্যেষ্ঠা মহারাণীর মৃত্যু হইল। দেশের আপামর সাধারণ লোক এই শাসনবিপর্য্যয়ে অস্থির হইয়া কনিষ্ঠা মহারাণীকে রিজেণ্ট করিয়া রাজকুমারকে সিংহাসনে বসাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল; কিন্তু চৌতুরিয়াগণ এ প্রস্তাবের বিরোধী ছিলেন। যাহা হউক সর্ব্বসম্মতিক্রমে প্রকাশ্য দরবারে রাজা