পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের বর্ত্তমান গুর্খা রাজগণ।
৯৩

মাতব্বর প্রথমে মহারাণীকে রিজেণ্ট করিয়া রাজকুমারকে রাজাধিরাজ পদে অভিষিক্ত করিবার জন্য চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু মহারাণীর অভিপ্রায় অন্যরূপ জানিয়া রাজকুমারের পক্ষ অবলম্বন করেন। মহারাণী মাতব্বর থাপাকে স্বীয় কার্য্যসিদ্ধির অন্তরায় দেখিয়া তাঁহার উচ্ছেদসাধনে তৎপর হন। রাজকুমারের পক্ষাবলম্বী ছিলেন বলিয়া মহারাজাধিরাজ রাজেন্দ্র বিক্রম তাঁহার প্রতি বিমুখ হন। অবশেষে মহারাজ ও মহারাণী চক্রান্ত করিয়া একদিন রাত্রে হঠাৎ মাতব্বরকে ডাকিয়া আনিয়া নিজেদের সমক্ষেই তাঁহাকে হত্যা করিলেন। কথিত আছে রাজাজ্ঞায়, জঙ্গ বাহাদুরই তাঁহাকে হত্যা করিয়াছিলেন। এইরূপে মাতব্বর থাপাকে অল্পদিনের জন্য ডাকিয়া আনিয়া হত্যা করা হইল। মাতব্বর থাপার মৃত্যুর পর গগন সিংহকে প্রধান মন্ত্রী করিয়া আবার এক মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। (জঙ্গ বাহাদুর, অভিরাম রাণা, দলভঞ্জণ পাঁড়ে প্রভৃতিকে লইয়া) গগন সিংহ হীন কুলোদ্ভব হইয়াও মহারাণীর প্রসাদে এই উচ্চপদ লাভ করিল। স্বয়ং মহারাজই, মহারাণীর সহিত গগনসিংহের এই প্রকার ঘনিষ্ঠতায় অতিশয় বিরক্ত হইতেন এবং তাঁহারই প্ররোচনায়, গোপনে গগন সিংহকেও হত্যা করা হইল। গগন সিংহ স্বীয় গৃহে পূজায় প্রবৃত্ত ছিলেন, এমন সময়ে নিকটবর্ত্তী স্থান হইতে কে তাঁহাকে গুলি করিয়া হত্যা করিল। হত্যাকারীকে কেহই ধরিতে সমর্থ হয় নাই। মহারাণী লক্ষ্মী দেবী গগন সিংহের হত্যার সংবাদ শুনিবামাত্র সেই রাত্রেই পদব্রজে ‘কোট’ নামক দরবারগৃহে উপনীত