পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
নেপালে বঙ্গনারী

হইলেন এবং রাজসভার সমুদায় পদস্থ ব্যক্তিকে আহ্বান করিয়া পাঠাইলেন; সকলে ত্বরায় উপস্থিত হইলেন। মহারাণীর আজ্ঞায় জঙ্গ বাহাদুরের সহায়তায় সে দিন ভীষণ হত্যাকাণ্ডের অনুষ্ঠান হইল (১৯এ সেপ্টেম্বর, ১৮৪৬)। ফতে জঙ্গ, দলভঞ্জণ পাঁড়ে, অভিরাম রাণা, কনক বিক্রম শাহ প্রভৃতি ৩১ জন প্রধান ব্যক্তিকে হত্যা করা হইল। জঙ্গ বাহাদুর এবং তাঁহার ভ্রাতৃগণ এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিনেতা ছিলেন। মহারাণী স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া এই হত্যাকাণ্ডে তাঁহাদিগকে উৎসাহিত করিয়াছিলেন।

 এই হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গ বাহাদুর মহারাণী কর্ত্তৃক প্রধান মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত হইলেন। মাতব্বর থাপার ন্যায় জঙ্গ বাহাদুরও মহারাণীর অভিসন্ধির সহিত যোগ দিতে পারিলেন না। মহারাণী লক্ষ্মী দেবী জঙ্গ বাহাদুরের দ্বারায় সুরেন্দ্র বিক্রমকে হত্যা করিয়া স্বীয় পুত্রকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য অনেক চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু অকৃতকার্য্য হইয়া জঙ্গ বাহাদুরকে হত্যা করিবার জন্য শেষবারে চক্রান্ত করিলেন। চক্রান্তটী এইরূপ ছিল;—বীর ধৌজ বুসনিয়াত এই চক্রান্তের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। স্থির হইয়াছিল যে, জঙ্গ বাহাদুর এবং তাঁহার ভ্রাতৃগণকে কোট নামক গৃহে ডাকাইয়া আনিয়া হত্যা করা হইবে। বিজয় রাজ পণ্ডিত নামে এক ব্রাহ্মণ এই চক্রান্তের বিষয় অবগত হইয়া জঙ্গ বাহাদুরকে বলিয়া দেন। জঙ্গ বাহাদুর অগ্রে জানিতে পারিয়া সাবধান হইলেন। বীর ধৌজ ও ১৪।১৫ জন তাঁহার দলস্থ ব্যক্তিকে হত্যা করা হইল। জঙ্গ বাহাদুর এবং তাঁহার বংশ-