পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
নেপালে বঙ্গনারী।

কতদিন আমোদচ্ছলে ব্যাঘ্রের সহিত যুদ্ধ করিয়াছেন। কাটমণ্ডুর ইংরাজ চিকিৎসকদিগের পুস্তকে পাঠ করিয়াছি তিনি কঠিন অস্ত্রচিকিৎসা দেখিতে অত্যন্ত উৎসুক হইতেন। ইংরাজ জাতি সাহসী বীরকে অত্যন্ত ভালবাসে, সেইজন্য জঙ্গবাহাদুরকে ইংরাজেরা অত্যন্ত সম্মান করিতেন। শিথিলভাবে কোন কার্য্য সম্পন্ন করা জঙ্গবাহাদুরের প্রকৃতি ছিল না। তাঁহার প্রত্যেক কার্য্যে ভিতর তাঁহার ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল ভাবে ফুটিয়া উঠিত। নেপালের ইতিহাসে জঙ্গবাহাদুরের নাম চিরদিন উজ্জ্বল অক্ষরে মুদ্রিত থাকিবে সংশয় নাই। একবার একজন ইংরাজ রেসিডেণ্ট নেপালে ভাল পথ নির্ম্মান করাইবার জন্য জঙ্গবাহাদুরকে অনুরোধ করেন, তাহার উত্তরে তিনি যে বাক্য উচ্চারণ করিয়াছিলেন তাহা নেপালীদিগের নিকট চিরস্মরণীয় হইয়া আছে, বলিয়াছিলেন “সাধে কি আমরা ভাল পথ করি না,— আমাদের রাজ্যের দুর্গমতাই আমাদের আত্মরক্ষার প্রধান উপায়। প্রবল প্রতাপান্বিত ব্রিটিশ রাজ্যের তুলনায় আমরা সিংহের সম্মুখীন বিড়াল। সিংহ আক্রমণ করিলে বিড়ালের আর কি সাধ্য আছে? তবে আত্মরক্ষার জন্য তাহার চক্ষু উপড়াইতে পারে।”

 ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে জঙ্গবাহাদুরের মৃত্যুর পর তাঁহার কনিষ্ট ভ্রাতা রণদীপ সিংহ প্রধান রাজমন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত হইলেন এবং সর্ব্বকনিষ্ট ভ্রাতা ধীরশামসের প্রধান সেনাপতি হইলেন। রণদীপ সিংহ মন্ত্রিপদাভিষিক্ত হইবার কিছুদিন পর সুরেন্দ্র বিক্রমের মৃত্যু হইলে তাঁহার পৌত্র