পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
নেপালে বঙ্গনারী।

এবং রণদীপের একমাত্র পুত্র ধোজনরসিং এবং রণদীপের দলস্থ অন্যান্য ব্যক্তিগণ রেসিডেন্সিতে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া জীবন রক্ষা করিলেন; নচেৎ সেদিন আরও অনেকের জীবন নাশ হইত। এই হত্যাকাণ্ডের পরই বীরশামসের আপনাকে প্রধান মন্ত্রী বলিয়া ঘোষণা করিলেন। তিনি রাজমন্ত্রী হইয়া যথা নিয়মে রাজকার্য্য পরিচালন করিয়াছিলেন। তিনি কাটমণ্ডু সহরের অনেক শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিয়া গিয়াছেন। জলের কল ও ড্রেন নির্ম্মান করিয়া বীরহাঁসপাতাল, বীরলাইব্রেরী প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করিয়া প্রজাদিগের প্রভূত কল্যাণ সাধন করিয়াছেন।

 ১৯০১ খৃষ্টাব্দে বীরশামসেরের মৃত্যু হয়; তাঁহার মৃত্যুর পর যথা নিয়মে দেবশামসের রাজমন্ত্রী হইলেন। কিন্তু দুই মাস মাত্র তিনি উক্তপদ অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন। দুই মাসের মধ্যেই মহারাজ চন্দ্রশামসের প্রমুখ দল তাঁহাকে নানাবিধ চক্রান্ত দ্বারা পদচ্যুত করিয়া একেবারে নেপালরাজ্য ত্যাগ করিতে বাধ্য করেন। এখন তিনি ভারতবর্ষেই আছেন, তাঁহার নিজের ধনসম্পত্তি অধিকাংশই তিনি উপভোগ করিতেছেন। দেবশামসের পদচ্যুত হইয়াছেন বটে কিন্তু অন্য কোন প্রকারে তাঁহাকে ক্লেশ দেওয়া হয় নাই। নেপালের ইতিহাসে এই একমাত্র রক্তপাতশূন্য বিপ্লবের কথা শুনিতে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মহারাজ চন্দ্রশামসেরের বুদ্ধি এবং বিবেচনার যথেষ্ঠ পরিচয় পাওয়া যায়। নেপালের রাজমন্ত্রীর পদ লইয়া যুদ্ধবিগ্রহ রক্তপাত প্রভৃতি চিরন্তন রীতি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। মহারাজ দেবশামসেরকে পদচ্যুত করিয়া ১৯০২ খৃষ্টাব্দে মহারাজ