পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
নেপালে বঙ্গনারী।

অতি পুরাকালে ইহা নাগবাস নামে এক প্রকাণ্ড পার্ব্বত্য হ্রদ ছিল। মানজুশ্রী বোধিসত্ত্ব নামে চীন দেশ হইতে সমাগত এক মহাত্মা স্বীয় তরবারির আঘাতে পর্ব্বত ভেদ করিয়া ইহার বারিরাশি নির্গমের ব্যবস্থা করিয়া দেন। তখন হইতে ইহা মনুষ্যের আবাসের উপযোগী হইয়াছে। এই কিম্বদন্তী অনেক কারণে নিতান্ত অমূলক বলিয়া মনে হয় না। কারণ এই উপত্যকা একেবারে সমতল। এবং কঙ্করশূন্য নদীতলের ন্যায় পল্ললময়। যদি এখনও কোন উপায়ে বাঘমতি নদীর বারি নির্গমের পথ একেবারে বন্ধ করিয়া দেওয়া যায়, তাহা হইলে এই রমণীয় উপত্যকা ভবিষ্যতে পুনরায় পার্ব্বত্য হ্রদে পরিণত হইতে পারে।

 কাটমণ্ডু সহর পূর্ব্বে কান্তিপুর নামে অভিহিত হইত। ৭২৩ খৃষ্টাব্দে রাজ গুণরাম দেব এই সহর প্রতিষ্ঠা করেন।

 একদা তিনি মহালক্ষ্মীর পূজা করিতেছিলেন। এমন সময়ে স্বপ্নে দেবী তাঁহাকে দর্শন দিয়া বলিলেন “বাঘমতি এবং বিষ্ণুমতি নদীর সঙ্গম স্থলে এক সহর নির্ম্মাণ করিতে হইবে। পুরাকালে তথায় নীমুনি তপস্যা করিয়াছিলেন। এই নুতন সহরের আকৃতি দেবীর খড়্গের ন্যায় হইবে। এ সহরে, প্রতিদিন লক্ষটাকার কারবার হইবে।” শুভলগ্নে রাজা পাটন হইতে কান্তিপুরে রাজধানী পরিবর্তন করিলেন। সহরে ১৮০০০ হাজার গৃহ নির্ম্মিত হইল। লক্ষী প্রতিজ্ঞা করিলেন যতদিন না সহরে লক্ষটাকার কারবার হয় ততদিন তিনি এই সহরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী হইয়া অবস্থিতি করিবেন। বর্ত্তমান সময়ে কান্তিপুর নামের পরিবর্ত্তে ইহা কাটমণ্ডু নামে