বিগ্রহ দণ্ডায়মান আছে। ঢোকা অর্থাৎ দ্বার। এই বিচিত্র প্রাসাদের দ্বার স্বর্ণনির্ম্মিত। বাহির হইতে দেখিলে ইহাকে সৈন্যবাস বা কারাগৃহ বলিয়া মনে হয়। ইহার গঠন প্রণালী বর্ত্তমান রুচিসঙ্গত নয়। বর্ত্তমান নরপতি এই প্রাসাদে অবস্থিতি করেন। হনুমানঢোকার সম্মুখে এবং চতুর্দ্দিকে নানা সুদৃশ্য দেবমন্দির, স্তম্ভ প্রভৃতি পুরাকীর্ত্তি সকল বিদ্যমান আছে। বস্তুতঃ এই স্থানের দৃশ্যটী অতি মনোরম; হনুমানঢোকার অদূরে ভৈরবের এক প্রস্তরনির্ম্মিত বীভৎস প্রতিমূর্ত্তি আছে। তাহার চক্ষু গোলাকার, দন্তপংক্তি ভীষণ ভাবে প্রকটিত। হনুমানঢোকার প্রায় ৪০০ হাত দূরে কোট নামে এক নব্য ধরণের গৃহ দেখিতে পাওয়া যায়। বাহ্যকৃতিতে ইহার কোন বিশেষত্ব নাই বটে কিন্তু বর্ত্তমান ইতিহাসে ইহা অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের ১৪ই সেপ্টেম্বর এখানে এক ভীষণ হত্যাকাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেই দিনই সুপ্রসিদ্ধ জঙ্গবাহাদুরের অভূতপূর্ব্ব গৌরবের দ্বার উদঘাটিত হইয়া যায়। তাই আজও কোটের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে রক্তাক্ত স্মৃতি হৃদয়কে ব্যথিত করিয়া তোলে। সহরের সর্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ বাজার। ইন্দ্রচক। ইন্দ্রচক কলিকাতার বড়বাজার বলিয়া ভ্রম হয়। বিলাতী পণ্যদ্রব্যে ইহা সুশোভিত। সহরের রাস্তা সকল অপ্রশস্ত এবং প্রস্তরনির্ম্মিত এবং অধিকাংশ স্থান অত্যন্ত অপরিষ্কার। দুই পার্শ্বে উন্নত দ্বিতল গৃহ সকল দেখিতে পাওয়া যায়। এ সকল গৃহ আমাদের দেশের গৃহের ন্যায় নহে। কারুকার্য্যখচিত কাষ্ঠের বারান্দা প্রত্যেক গৃহের প্রধান সৌন্দর্য্য। গৃহ সকল ক্ষুদ্র,
পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
নেপালে বঙ্গনারী।