পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
নেপালে বঙ্গনারী।

 টুনিখিলের পশ্চিম দিকে তাঁহারই প্রতিষ্ঠিত বীর হাঁসপাতাল ও দরবার স্কুল শোভা পাইতেছে। উত্তরে রাণী পুকুর এবং মহারাজ বীরশামসের সাহেবের অতি সুশোভন লাল দরবার নামক প্রাসাদ। রাণীপুকুরের মধ্যে একটী দেবঘন্দির আছে। এই সুন্দর সরোবরটী প্রায় ৪০০ বৎসর পূর্ব্ব রাজা প্রতাপমল্ল পুত্রশোককাতরা পত্নীর সান্ত্বনার জন্য প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন; এবং ভারতবর্যের সমুদায় তীর্থ হইতে পবিত্র বারি আনিয়া ইহাতে রক্ষিত হইয়াছিল। অদ্যাবধি এই সরোবরের দক্ষিণে এক প্রকাণ্ড প্রস্তরনির্ম্মিত হস্তীর উপর প্রতাপমল্ল এবং তাহার রাণীর প্রতিমূর্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। পুষ্করিণীর পূর্ব্ব পারে বীর লাইব্রেরী এবং ঘটিকাগৃহ আছে। ইহার বীরশামসের মহারাজার কীর্ত্তি। তিনি কাটমণ্ডু ও সহরে ড্রেণ এবং জলের কল নির্ম্মণ করিয়া সহরবাসীর প্রভূত উপকার করিয়াঝেন। তিনি নানা উপায়ে কাটমণ্ডু সহরের শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিয়া গিয়াছেন। মহারাজ চন্দ্র শমসের সম্প্রতি বৈদ্যুতিক আলোর ব্যাবস্থা করিয়া সহরের একটী বিশেষ অভাব মোচন করিয়াছেন।

 বীরশানসের মহারাজার লাল দরবারের উত্তরে রাণা পরিবারস্থ অনেক সুপ্রসিদ্ধ ব্যক্তির সুদৃশ্য প্রাসাদ সকল দেখিতে পাওয়া যায়। আরও উত্তরে বর্ত্তমান নরপতি মহারাজাধিরাজ ত্রিভুবন বিক্রম শাহের রাজভবন। তিনি এখন হনুমানঢোকায় অবস্থিতি করেন না। সহরের একেবারে উত্তরে পর্ব্বতের পাদদেশে ব্রিটিশ রেসিডেন্সি।