পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের অধিবাসীগণ।
২১

নাই। উচ্ছিষ্টের বিচার আমাদের দেশের ন্যায় নহে। এদিকে আবার রন্ধনশালায় বসিয়া না আহার করিলে চলে না। প্রস্তুত অন্ন রন্ধনগৃহের বাহিরে ভোজন করা বিধেয় নহে। এই জন্য ভিন্ন জাতীয়েরা এক রন্ধনশালায় আহার করিতে পারে না। পতি হয়ত ক্ষত্রিয়, পত্নী ভোট সুতা, এমন এমন স্থলে পতি পত্নীকে ভিন্ন ভিন্ন রন্ধনের ব্যবস্থা করিয়া ভিন্ন ভিন্ন রন্ধনশালায় আহার করিতে হয়। তাঁহাদের সন্তানেরা তৃতীয় রন্ধনশালায় আহার করে। একই গৃহে তিন সংসার। বলা বাহুল্য এখানে অনুলোষ অসবর্ণ বিবাহ চলিত আছে। অন্য জাতীয় ব্যক্তিকে স্পর্শ করিয়া পান, তামাক কিম্বা জল পর্যন্ত পান করা চলে না। নেপালে আমাদের দেশের ন্যায় অবরোধ প্রথা নাই (নেপালের বাহিরে ইহারা অবরোধ প্রথা মানিয়া চলেন)। শ্বশুর শ্বাশুড়ী কিম্বা অন্য গুরুজনের নিকট বধুগণ অবলীলাক্রমে উপনীত হন ও প্রয়োজনীয় বাক্যালাপ করেন। কি স্ত্রী কি পুরুষ পূজা অর্চ্চনায় এবং ধর্ম্মাচরণে দিবসের অনেক সময় ব্যয় করিয়া থাকেন। গুর্খাগণ সাহসী সৈনিক বটে, কিন্তু পরিশ্রমী, কার্য্যকুশল জাতি নহে। তাহারা কৃষি কিম্বা শিল্পকর্ম্মে অনুরক্ত নহে। দেশের যত প্রকার শ্রমসাধ্য কিম্বা সূক্ষ্ম কার্য্য আছে তাহার অধিকাংশই নেওয়ারদিগের দ্বারা সম্পন্ন হইয়া থাকে। কি স্বদেশে কি বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য অধিকাংশই তাহাদিগের হস্তে; সুতরাং তাহাদিগের মধ্যে অনেক সম্পন্ন ব্যক্তি আছে। লেখা পড়ার কার্য্যেও অধিকাংশ স্থলে নেওয়ারগণই নিযুক্ত। কাটমণ্ডু এবং তাহার নিকটস্থ