স্থান সমূহে অধিকাংশ নেওয়ারের বাস। নেপালের অন্যান্য অংশে তাহাদিগের সংখ্যা তাদৃশ অধিক নহে। নেওয়ারগণই বস্তুতঃ নেপালের আদিম অধিবাসী। তাহারা অধিকাংশই বৌদ্ধধর্ম্মাবলম্বী ছিল। বর্ত্তমান সময়ে হিন্দুরাজার রাজ্যে নেপালে। বৌদ্ধধর্ম্মের চরম দুর্দ্দশা উপস্থিত হইয়াছে। আর কিছুদিন পরে। ইহার অস্তিত্ব থাকিবে কিনা সন্দেহ। নেওয়ারগণকে কিছুতেই অসভ্য জাতি বলা যায় না। অপেক্ষাকৃত শান্ত, কার্য্যকুশল, শ্রমনিপুণ হইলেও সামাজিক নীতিতে এ জাতি গুর্খাদিগের তুলনায় হীন। জনসাধারণের ভিতর বিবাহবন্ধন অত্যন্ত শিথিল। নেওয়ারণীদিগের ভিতর পাতিব্রত্য ধর্ম্মের বিশেষ আদর আছে বলিয়া মনে হয় না। অবশ্য উচ্চ পরিবারের নেওয়ারদিগের সম্বন্ধে একথা খাটে না! নেওয়ারদিগের কন্যা বিবাহযোগ্যা হইলে পিতামাতা সচারাচর বিবাহ দিয়া থাকে বটে, কিন্তু একই পতির গৃহে তাহাদের জীবনের অবসান হয় না। সুযোগ এবং সুবিধা হইলে যে কোন কারণে তাহারা পত্যন্তর গ্রহণ করে। বিধবা হইলে ত কথাই নাই। ধরিতে গেলে নেওয়ারনীগণ কখনই বিধবা হয় না। অনেকস্থলে সহোদর ভ্রাতাগণের ভিন্ন ভিন্ন পিতা। গুর্খাদিগের বিবাহবন্ধন কিম্বা সামাজিক নীতি এরূপ শিথিল নহে; অন্ততঃ নারীগণ সম্বন্ধে। যথায় বহুবিবাহ এবং দাসত্ব প্রথা বিদ্যমান, তথায় পারিবারিক জীবনে ধর্ম্মনীতির উচ্চ আদর্শ অন্বেষণ করা বাতুলতা মাত্র। নেপালীদিগের ভিতর গুরুভক্তি এবং ব্রাহ্মণভক্তি অতিশয় প্রবল। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পিতা
পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
নেপালে বঙ্গনারী।