এই হেতু ভারতবর্ষীয়েরা অল্পায়াসে এই ভাষা আয়ত্ত করিয়া লয়। নেয়ারগণ আর্য্য এবং মঙ্গোলীয় জাতির সংমিশ্রণে উৎপন্ন হইয়াছে। তাহাদের ভাষা তির্ব্বতের সহিত জ্ঞাতি সম্বন্ধ প্রকাশ করে। সে ভাষা আমাদের নিকট দুর্ব্বোধ্য। পূর্ব্বে নেওয়ারগণ অধিকাংশ বৌদ্ধ ছিল বটে, কিন্তু এখন হিন্দুধর্ম্মের সহিত ইহার এরূপ সংমিশ্রণ ঘটিয়াছে যে বিশুদ্ধ বৌদ্ধ আর নাই। মগর গুরুম হিন্দু। অন্যান্য জাতিসকলের ভাষা বিভিন্ন; তাহারা অধিকাংশই বৌদ্ধ। ভুটিয়া এবং লিম্বুরা তিব্বতীয় ভাষা ব্যবহার করে।
দাসত্ব প্রথা
নেপালে দাসত্ব প্রথা পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান। প্রত্যেক সম্পন্ন গৃহস্থের গৃহ ‘ক্রীত’ দাস দাসীতে পূর্ণ। কাহারও অবস্থা মন হইলে দাস দাসী বিক্রয় করিবার রীতি আছে। দাস দাসীদিগের সন্তাণগণ। জন্মের সহিত দাসত্বফাঁস গলায় করিয়া আসে। নেপালের দাসত্ব প্রথা ইউরোপীয়দিগের দাসত্ব প্রথার ন্যায় নহে। এখানে দাস দাসীগণের কোন কষ্ট আছে বলিয়া মনে হয় না। তাহারা সন্তান নির্ব্বিশেষে প্রতিপালিত হয়। দাস হইতে দাসীর মূল্য অধিক—দাসীগণের ১৫০৲৷২০০৲ এবং দাসগণের ১০০৲৷১৫০৲ পর্যন্ত মূল্য হইয়া থাকে। সুরূপা হইলে দাসীদিগের মূল্য অধিক হয়। দাসীগণ প্রভুর সন্তান গর্ভে ধারণ করিলে তাহাদিগের পদমর্য্যাদা বৃদ্ধি হয় এবং চিরদিনের মত জীবিকার সংস্থান হয়।