পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
নেপালে বঙ্গনারী।

পদ্মের মধ্যস্থিত স্বয়ম্ভুজ্যোতিকে পূজা করিলেন। এবং সেই পদ্মের মূল যে গুহ্যেশ্বরীতে নিহিত ছিল তাহাও তিনি লক্ষ্য করিলেন। গৃহস্থ ব্যক্তিগণের বাসের জন্য তিনি মঞ্জুপাটন নামক সহর প্রতিষ্ঠা করেন। এবং ভিক্ষুদিগের জন্য বিহারও স্থাপন করিয়াছিলেন। পরিশেষে ধর্ম্মরকে রাজা করিয়া তিনি চীনে প্রস্থান করিলেন। মঞ্জুশ্রীর শিষ্যগণ মঞ্জুশ্রীর পূজার জন্য স্বয়ম্ভুর নিকট এক মন্দির। নির্মাণ করেন।

 ত্রেতা যুগে করকাচাঁদ বুদ্ধ ক্ষেমবতী নামক স্থান হইতে আগমন করিয়া স্বয়ম্ভুজ্যোতির ভিতর গুহ্যেশ্বরীকে দর্শন করেন। তিনি ব্রাহ্মণ জাতীয় ৭০০ ব্যক্তিকে ভিক্ষুব্রতে দীক্ষা দেন। কিন্তু কোথায়ও আর জল দেখিতে পাইলেন না। তখন পর্ব্বত গাত্রে অঙ্গুলি স্পর্শ করিবামাত্র বাঘমতি নদী নামিয়া আসিল। ৭০০ শিষ্যের কেশ লইয়া শূণ্যে ছড়াইয়া দিলেন অমনি কেশমতি নদীর জন্ম হইল।

 দ্বাপর যুগে কণকমুণি বুদ্ধ শোভাবতী হইতে আসিয়া স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করেন। তৎপরে কাশ্যপ বুদ্ধ কাশী হইতে আগমন করেন। তিনিও স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করিয়া কৃতার্থ হন তৎপরে তিনি গৌড়ে (বাঙ্গাল) গিয়া প্রচণ্ডদেব নামক রাজাকে স্বয়ম্ভু ও গুহেশ্বরীর পূজা করিতে আদেশ দেন। তাঁহার আদেশানুসারে প্রচণ্ডদেব শান্তশ্রীনাথ নাম ধারণ করিয়া ভিক্ষুব্রত গ্রহণ করিলেন। তিনি স্বয়ম্ভুজ্যোতি দর্শন করিয়া কৃতার্থ হইলেন। কিন্তু কলিযুগ সন্নিকট জনিয়া