পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৵৹

উপন্যাসের ন্যায়। এই লুক্কায়িত স্থানে অনেক প্রাচীন কথা গুপ্ত আছে। সুদূর চীন হইতে কোন্ যুগে কোন্ বোধিসত্ত্ব মহাত্মা আসিয়া কোন্ বিপুল হ্রদকে রমণীয় উপত্যকায় পরিণত করিয়াছিলেন, কোথায় সেই হ্রদের মধ্যে শতদল শোভা পাইল, শতদলের নিয়ে পবিত্র বারি উৎসারিত হইল, সেখানে স্বয়ম্ভু ভগবান দিব্য কিরণে প্রকাশিত হইলেন, অদ্যাবধি নেপালবাসী ও নানা স্থান হইতে ভক্তবৃন্দ আসিয়া তথায় পশুপতিনাথকে দর্শন করেন। কোথায় কোন দেবতার হস্তম্পর্শে দৈব বারিধারা উৎসারিত হইয়া নিঝরিণী সৃষ্টি করিয়াছে—কি অপূর্ব্ব কথা সে সকল! যুগে যুগে কত মহাপ্রাণ হিন্দু, মুসলমানদিগের ভয়ে ভীত ও সংক্ষুব্ধ হইয়া এই দুর্ভেদ্য দুর্গে আশ্রয় লইয়াছিলেন, হিন্দুস্থান হইতে হিন্দু ধর্ম্ম উৎপীড়িত হইয়া এখানে আসিয়া আশ্রয় লাভ করিয়াছেন। ভারত বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্ম্মের জন্মস্থান, এই উভয় ধর্ম্মই নেপালে আশ্রয় লাভ করিয়াছে। এক্ষণে এই উভয় ধর্ম্মই নেপালের জনসাধারণের ধর্ম্ম। ভারতের সর্ব্বত্রই রেলপথ বিস্তৃত হওয়াতে কোন প্রদেশই আর ভ্রমণকারীর অজ্ঞাত নাই। কিন্তু নেপাল রাজ্য সকলের নিকটেই অদৃষ্টপূর্ব দেশ হইয়া রহিয়াছে। নেপালে অবস্থান কালে আমি নেপাল সম্বন্ধে “প্রবাসীতে” কয়েকটী প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়াছিলাম। তাহাতে অনেকেই কৌতূহলী হইয়া আমাকে নেপাল সম্বন্ধে অনেক প্রশ্ন করিতেন। সেই হেতু আমার এই পুস্তকখানির জন্ম। আমি ডাক্তার ওলডফিলড, (Oldfield) রাইট, হাউট, হডসন, প্রভৃতির পুস্তকে নেপালের