পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নেপালে বৌদ্ধধর্ম্ম।

 শাক্যসিংহের জীবদ্দশায় কিম্বা তাঁহার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই নেপালে বৌদ্ধধর্ম্ম প্রচারিত হয়। যে কুশীনগরে তিনি দেহত্যাগ করেন, তাহা নেপালের অন্তর্গত ছিল, ইহাও অনেকে প্রমাণ করিতে আয়াস করিয়াছেন। কুশীনগর নেপালের অন্তর্গত ছিল কি না তা নিশ্চিত প্রমাণীকৃত না হইলেও, শুদ্ধোদনের রাজ্য যে নেপালের পাদদেশ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাহাতে আর সন্দেহ নাই। যেখানে শাক্যসিংহ ভূমিষ্ঠ হন তথা হইতে নেপাল বহুদূর নয়, সুতরাং নেওয়ারদিগের কিম্বদন্তী অনুসারে শাক্যসিংহ সে রাজ্যে পদার্পণ করিয়াছিলেন তাহা অবিশ্বাস করিবার বিশেষ কোন কারণ নাই।

 বর্ত্তমান সময়ে নেপালের অধিবাসীদিগের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ বৌদ্ধ, অবশিষ্ট হিন্দু। হিমাচলের ক্রোড়স্থ অধিকাংশ পার্ব্বত্য রাজ্যসমূহে—যথা নেপাল, সিকিম, ভুটান প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধধর্ম্মই লৌকিক ধর্ম্ম। কিন্তু নেপালের বৌদ্ধধর্ম্মের যে বিশেষত্ব দেখিতে পাওয়া যায় তিব্বত, চীন, জাপান, সিংহল প্রভৃতি অপর কোন দেশে প্রচলিত বৌদ্ধধর্ম্মের সহিত ইহার তেমন সৌসাদৃশ্য নাই। হিন্দুধর্ম্মের সহিত অপূর্ব্ব সংমিশ্রণে ইহা এক অপূর্ব্ব বেশ ধারণ করিয়াছে। অতি পুরাকাল হইতে