পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালে বৌদ্ধমন্দির।
৫১

স্তূপের চারিদিকে পাঁচটী অতি সুন্দর মন্দির নির্ম্মিত করিয়া পঞ্চ-বুদ্ধমূর্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

 ৪। ১৭৫০ সালে লাসা হইতে দুইজন লামা আসিয়া এই মন্দিরের সংস্কার করেন। ইহার পরও অনেক বার অল্পাধিক পরিমাণে ইহার সংস্কার হইয়া আসিতেছে। জানি না এই রূপ প্রাচীন মন্দির আর আছে কি না। কিন্তু বর্ত্তমান সময়েও ইহার অবস্থা ভালই আছে।

বোধনাথ বা বৌধ

 কাটমণ্ডু সহরের তিন মাইল দূরে তিব্বতবাসী বৌদ্ধদিগের সর্ব্বপ্রধান তীর্থ বোধনাথ প্রতিষ্ঠিত। স্বয়ম্ভূর মন্দিরে হিন্দুগণ কদাচিৎ গিয়া থাকে; কিন্তু বোধনাথ খাঁটি বৌদ্ধতীর্থ। তিব্বতিগণ ইহার চতুর্দ্দিকে বাস করে। ইহা তাহাদিগের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, তাহাদিগেরই তীর্থ। ইহাও অতি প্রাচীন। অতি পুরাকালে লাসা হইতে কাশ নামে কোন তিব্বতী তীর্থভ্রমণোদ্দেশে নেপালে আগমন করেন, তাঁহারই দেহাবশেষ এই স্তূপের গর্ভে রক্ষিত হইয়াছে; ইহাও প্রকাণ্ড গোলাকার এক স্তূপ। ইহার ব্যাস ৯০ ফিট্ এবং মধ্যভাগ উচ্চে ১৫৩ ফিট্ হইবে। নেপাল-উপত্যকার সর্ব্বত্রই ইহার স্বর্ণময় চূড়া এবং তন্নিম্নস্থিত চক্ষুদ্বয় দেখিতে পাওয়া যায়। এই প্রকাণ্ড স্তূপটীর চতুর্দ্দিকেও জপযন্ত্র। ইহা তিব্বতীদিগের একটী ক্ষুদ্র সহর এবং অপরিচ্ছন্নতায় অতুলনীয়। বোধনাথের সহিত হিন্দুদিগের কোন সম্পর্ক নাই; তাহারা ইহার ত্রিসীমানায় পদার্পণ করে কিনা সন্দেহ।