নেপালের নেওয়ারগণ মৎসেন্দ্রনাথকে বোধিসত্ত্ব পদ্মপানির অবতার বলিয়া বিশ্বাস করেন। কথিত আছে আসামের কথপল পর্ব্বত মৎসেন্দ্রনাথের আবাস ছিল। একবার নেপালে দ্বাদশবর্ষব্যাপী অনাবৃষ্টি হয়। তখন ভাটগাঁওএর রাজা নরেন্দ্রদেব তাঁহাকে আহ্বান করিয়া আনেন এবং তাঁহার আগমনমাত্রে নেপালে প্রচুর বারিবর্ষণ হয় এবং প্রজাগণের প্রাণরক্ষা হয়। অদ্যাবধি মৎসেনাথের যাত্রার দিবস এক পসলা বৃষ্টি না হইয়া যায় না। এই মন্দির পাটনের দক্ষিণে নরেন্দ্রদেব কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল।
পাটনে অশোকের মন্দির।
নেপালের ইতিহাসে দেখা যায় সম্রাট অশোক সপরিবারে সদলে নেপালে আগমন করেন। কাটমণ্ডু সহরের সন্নিহিত পুরাতন পাটন অর্থাৎ ললিত পাটন তাঁহাদ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তিনি সহরের মধ্যভাগে এবং চারিকোণে আদিবুদ্ধের যে সকল মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন তাহা অদ্যাবধি সুন্দর অবস্থায় আছে। এই সকল মন্দিরের গর্ভে অশোক যাহা নিহিত করিয়াছিলেন তাহা অদ্যাবধি কেহ স্পর্শ করে নাই। জানি না ভবিষ্যতে এই সকল মন্দিরের গর্ভ হইতে কত অমূল্য পুরাতত্ত্ব সংগৃহীত হইবে।
ভাটগাঁওএ অশোকের প্রতিষ্ঠিত মন্দির আছে। কীর্ত্তিপুরে এবং ভাটগাঁওতে অসংখ্য বৌদ্ধমন্দির আছে। ইহার কোনটা বা আদি-